আমরা জেতার পর আসন ধরে রাখতে পারি না, কবুল দিলীপের, শনিবার হারের পর্যালোচনা বৈঠকে গরহাজির মুকুল, কৈলাশ

তাঁরা জেতার পর আসন ধরে রাখতে পারেন না বলে কবুল করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, আসলে আমাদের অভিজ্ঞতা কম, তাই জেতার পর আসন ধরে রাখতে পারি না। তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিপর্যয়ের পর আত্মসমালোচনার সুরে দিলীপ বলেন, কোথায় আমাদের ভুল-ত্রুটি আছে দেখতে হবে। তাঁর যুক্তি, উপনির্বাচনের ফল সাধারণত শাসক দলের পক্ষেই যায়। সারা দেশের লোকসভা এবং বিধানসভার ক্ষেত্রে এটাই ‘ট্রেন্ড’। পাশাপাশি তিনি বলেন, তবে এর ব্যতিক্রমও আছে। তিনটি উপনির্বাচনে হেরেছি বলে সব শেষ হয়ে গেল এমন ভাবার কোনও কারণ নেই।
উপনির্বাচনে হার নিয়ে শনিবার দলের রাজ্য দফতরে বিজেপির কর্মকর্তারা বৈঠক করেন। তবে ওই বৈঠকে মুকুল রায়, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়-র মতো অনেক কেন্দ্রীয় নেতাই গরহাজির ছিলেন। দিলীপ জানান, ভোটে ভরাডুবি নিয়ে এই বৈঠকে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। পরে এ ব্যাপারে একাধিক বৈঠকে বিস্তারিত পর্যালোচনা হবে।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সাম্প্রতিক এই উপনির্বাচনে বিজেপির হারের পেছনে বিশেষ ভূমিকা ছিল এনআরসি-র। বিশেষ করে করিমপুর এবং কালিয়াগঞ্জে এনআরসি-র ভীতি মানুষকে তৃণমূলের পক্ষে যেতে অনেকটাই সাহায্য করেছে। দিলীপ অবশ্য এনআরসি-র ভূমিকা মানতে নারাজ। তিনি বলেন, খড়গপুরে তো এনআরসি কোনও ফ্যাক্টর ছিল না। সেখানে আমরা হারলাম কেন? তাঁর দাবি, খড়গপুরে তাঁদের ভোট খুব বেশি কমেনি। খড়গপুরে ২৭ টি বুথে ব্যাপক রিগিং হয়েছে। সন্ধের পরও বহু বুথে ছাপ্পা ভোট হয়েছে। অনেক বুথে আবার তৃণমূলের লোকরাই আমাদের এজেন্ট হয়ে বসে পড়েছিল। রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, মমতা ব্যানার্জি এনআরসি-র নামে মিথ্যা ভয় দেখিয়েছেন। কেন্দ্র যে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনছে, মমতা সেটাই চেপে গিয়েছেন। আমরা মানুষকে বোঝাব, আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, তারপর এনআরসি। সমস্ত হিন্দু শরণার্থীই নাগরিকত্ব পাবেন, কারও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপ অভিযোগ করেন, উপনির্বাচনে জেতার পর বৃহস্পতিবার রাত থেকে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল সন্ত্রাস শুরু করেছে বিভিন্ন জেলায়। তিনি বলেন, এসব করে বিজেপিকে ভয় পাওয়ানো যাবে না। এটা যেন তৃণমূল মনে রাখে।

 

Comments are closed.