বিজেপির রথযাত্রা নিয়ে বৃহস্পতিবার রায় দেবে কলকাতা হাইকোর্ট, অনুমতি দিতে নারাজ রাজ্য

ঝুলেই রইল এরাজ্যে বিজেপির রথ ভাগ্য। বিজেপির মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের পরও কাটল না জট। বৃহস্পতিবার সকালে আদালত বিজেপির পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শুনবে। তারপর রাজ্যের বক্তব্য শোনার পরে চূড়ান্ত রায় দেবে আদালত। বিজেপির তরফের আইনজীবীকে ১৫ মিনিট সময় দেওয়া হবে এবং সেই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ মিনিট রাজ্যের বক্তব্য শোনা হবে বলে বুধবার জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
কী কারণে রথযাত্রার অনুমতি রাজ্য দিচ্ছে না তার সঠিক কারণ বুধবার জানতে চায় আদালত। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারল বলেন, বিজেপির গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার বা রথযাত্রার কর্মসূচিতেই রয়েছে গণ্ডগোলের আশঙ্কা। পুলিশ রিপোর্টই তাই বলছে। তাই অনুমতি দিতে পারেনি রাজ্য সরকার। আদালত সরকারের কাছে প্রশ্ন রাখে, শুধুমাত্র গোয়েন্দা রিপোর্টকে সামনে রেখে সরকার কীভাবে রথযাত্রার অনুমতি খারিজ করে দেয়। যদি শুধু গোয়েন্দার রিপোর্টের ভিত্তিতে সরকার অনুমতির কথা বিবেচনা করে, তবে সব দলের মিটিং-মিছিল আটকে যেত। রাজ্য রথযাত্রার অনুমতি দিয়ে কড়া প্রশাসনিক ব্যবস্থা করতে পারতো বলে বিচারপতি জানান। জবাবে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, প্রশাসকের কাজ আদালতের নির্দেশ দিয়ে বাস্তবায়িত করা যায় না। এরপর, দীর্ঘক্ষণ সওয়াল-জবাব চলার পর আদালত জানায়, বৃহস্পতিবার দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রথভাগ্য নির্ধারণ করা হবে।
এদিকে, রথযাত্রার অনুমতি না মেলায় জেলায় জেলায় সভার অনুমতি চায় বিজেপি। বুধবার হাওড়া জেলা শাসকের অফিসের সামনে আইন অমান্য কর্মসূচি গ্রহণ করে বিজেপি। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার বা রথযাত্রার অনুমতি রাজ্য দেয়নি। সভায় শাসক দলের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র খর্ব করার অভিযোগ তোলেন তিনি। সভা শেষে জেলা শাসকের অফিসের দিকে বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা এগোলে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। শুরু হয় পুলিশ ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধস্তাধস্তি। বেশ কিছুক্ষণ পুলিশি চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।

Comments are closed.