বন্ধ মেট্রোর কাজ, তার মধ্যেই বুধবার বউবাজারে ফের হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ২০ টি বাড়ি

বুধবার ফের হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বউবাজারের একাধিক বাড়ি, ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হল প্রায় ২০ টি বাড়ি। দ্রুত জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি খালি করার জন্য ডিসি সেন্ট্রালকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুর নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে বাড়ি ভাঙা নিয়ে এখনই তাড়াহুড়ো করা হবে না বলেও জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ক্ষতি হওয়া বাড়িগুলির মাটি পরীক্ষা করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও আলোচনার পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বুধবার বউবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, অনেক মানুষই এককাপড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন, কবে তাঁরা ঘরে ফিরতে পারবেন বা পুনর্বাসন হলে, কোথায় হবে, তা দ্রুত স্থির করতে হবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য সরকারকে।
এদিকে বুধবার বউবাজার এলাকায় নতুন করে বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা যাওয়ায় ফের উত্তেজনা ছড়ায়। বউবাজারের এলাকার একাধিক সোনার দোকান বন্ধের ফলে ব্যবসায়িক ক্ষতি হচ্ছে, যার জেরে দোকান কর্মীদের রুজি-রোজগার সঙ্কটে পড়েছে। প্রচুর কর্মচারী রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে বউবাজারের দোকানগুলিতে কাজ করেন। তাঁদের অভিযোগ, দোকান বন্ধের ফলে একদিকে রোজগারে টান পড়েছে, পাশাপাশি মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের অভাবে ফুটপাথেই রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন।
শনিবার সন্ধে নাগাদ মেট্রো প্রকল্পের কাজ চলাকালীন ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় বউবাজার এলাকা। দুর্গা পিথুরি লেন ও স্যাকরাপাড়া লেনের মাটি বসে যাওয়ায় একের পর এক বাড়িতে ফাটল ধরে। গৃহহীন হন ৫০ টিরও বেশি পরিবার। চরম বিপাকে পড়েন বি বি স্ট্রিট লাগোয়া বেশ কয়েকটি দোকান। বিপদের আশঙ্কায় এলাকার বাসিন্দাদের হোটেলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে দ্রুত ন্যূনতম ৫ লক্ষ টাকা করে মেট্রোর ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত বলে ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বাড়িগুলির সম্পূর্ণ মেরামত করা এবং এই সময় বাসিন্দাদের ভাড়া বাড়ির খরচও মেট্রোই দেবে বলে জানান মমতা। একই নীতিতে বউবাজার এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত দোকান এবং ব্যবসায়ীদেরও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে বলেও এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর মধ্যে বুধবার ফের ২০ টির বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী থেকে প্রশাসন।

Comments are closed.