বিএসএনএল এবং এমটিএনএল মিলিয়ে ৯২ হাজার কর্মচারী স্বেচ্ছাবসর চান

সপ্তাহ দুয়েক আগেই বিএসএনএলের ৭০ হাজার কর্মী স্বেচ্ছাবসরের জন্য আবেদন করেছিলেন। এবার বিএসএনএল এবং এমটিএনএলের মোট ৯২ হাজার কর্মচারী ভিআরএস-এর জন্য আবেদন জানিয়েছেন বলে সরকারি সূত্রের দাবি। একসঙ্গে এত সংখ্যক কর্মীর স্বেচ্ছাবসরের আর্জি নজিরবিহীন ঘটনা।
লোকসানে চলা রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল এবং এমটিএনএলকে ঘুরে দাঁড় করানোর যুক্তি দিয়ে বিপুল সংখ্যক কর্মী কমানোর উপর জোর দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। সেই লক্ষ্যেই এই ভিআরএস প্ল্যান। তবে এতে কাজের কাজ কতটা হবে, তা নিয়ে সংস্থার অন্দরে এবং কর্মচারী সংগঠনগুলির সংশয় রয়েছে। ‘ভলান্টারি রিটায়ারমেন্ট স্কিম-২০১৯’ এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার ৭০ থেকে ৮০ হাজার কর্মীকে স্বেচ্ছাবসরের আওতায় এনে ৭ হাজার কোটি টাকা বাঁচানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বিএসএনএল। প্রকল্প অনুযায়ী, বিএসএনএলের নিয়মিত ও স্থায়ী কর্মীদের মধ্যে যাঁদের বয়স পঞ্চাশ বা তার বেশি, তাঁরা স্বেচ্ছাবসরের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। কিন্তু এই ভিআরএস প্ল্যানে কত সংখ্যক কর্মী সাড়া দেবেন, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছিল। কর্মী ইউনিয়নও দাবি করেছিল, স্বেচ্ছাবসরের জন্য যে প্যাকেজ দেওয়া হচ্ছে তা আকর্ষণীয় নয়। তা সত্ত্বেও দুই সংস্থার ৯২ হাজার কর্মী স্বেচ্ছাবসরের জন্য আবেদন করেছেন।
বিএসএনএলের দেড় লাখ কর্মীর মধ্যে প্রায় এক লাখ কর্মচারীর বয়স পঞ্চাশোর্ধ্ব হওয়ায় এঁরা ভলেন্টারি রিটায়ারমেন্ট স্কিমের (ভিআরএস) জন্য যোগ্য। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে স্বেচ্ছাবসর কার্যকর হবে ৩১ জানুয়ারি, ২০২০ থেকে। অন্যদিকে, মহানগর টেলিফোন নিগম লিমিটেডও (এমটিএনএল) তাদের কর্মীদের জন্য ভিআরএস প্ল্যান চালু করেছে। এই স্কিমে কর্মীরা ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
বিএসএনএলের কোনও কর্মী স্বেচ্ছাবসরের জন্য আবেদন করলে তিনি এককালীন যে অর্থ (এক্স-গ্রাশিয়া) পাবেন, তা তাঁর অবশিষ্ট চাকরিজীবনের মূল বেতন ও মহার্ঘ ভাতার থেকে বেশি হবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এক্স-গ্রাশিয়া হিসাবে কর্মীরা প্রতি বছর ৩৫ দিন হিসেবে যত বছর চাকরি করেছেন এবং প্রতি বছর ২৫ দিন হিসাবে অবশিষ্ট চাকরিজীবনের বেতন পাবেন।

Comments are closed.