আজানের শব্দে ঘুমে ব্যাঘাত, অভিযোগ জানিয়ে চিঠি এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

দু’সপ্তাহ আগে জেলার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ভানু চন্দ্র গোস্বামীকে চিঠিটি লিখেন উপাচার্য সঙ্গীতা শ্রীবাস্তব।

রোজ ভোর ৫.৩০-য় নিকটবর্তী মসজিদতে জোরে মাইক বাজিয়ে আজান পড়া হয়, যার কারণে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটছে, এমনটাই অভিযোগ ছিল এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সঙ্গীতা শ্রীবাস্তবের।

দু’সপ্তাহ আগে ‘Noise pollution in the civil lines, Prayagraj’ শিরোনাম জুড়ে জেলার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ভানু চন্দ্র গোস্বামীকে চিঠিটি লিখেন উপাচার্য সঙ্গীতা শ্রীবাস্তব। এই চিঠি এবং পুলিশি প্রতিক্রিয়া মিডিয়ায় প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল সমালোচনা শুরু হয় মুসলিম গোষ্ঠীগুলির মধ্যে।

চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন, “ঘুমে খুবই ব্যাঘাত ঘটছে, বহু চেষ্টার পরও ঘুম আসতে চায়না। যার ফলে সারা দিন মাথাব্যথা থাকে এবং তা কাজের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।” চিঠিতে আরও জানিয়েছেন, তিনি কোন ধর্ম, বর্ণ বা ধর্মবিরোধী সমালোচনা করতে চান না। কিন্তু মাইক ছাড়া আজান পড়লে অন্যরা বিরক্ত হবে না এমনটা তাঁর আবেদন।

সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন অনুযায়ী, রাত ১০ টা থেকে সকাল ৬ টার মধ্যে কোনরকম শব্দ দূষণ করা যাবে না। জনগণকে উদ্দেশ্য করে কোনরকম প্রচার বা ঘোষণার অনুমতি দেয় না আইন। আর তা যদি ঘটে থাকে তবে আইনিভাবে অনুমতি নিয়ে প্রচার করতে হবে নয়তো আদালত তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

সম্প্রতি, প্রয়াগরাজে ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল কাবিন প্রতাপ সিং একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, চিঠিটি হাতে পাওয়ার পর এলাহাবাদ হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের আদেশ বহাল রাখতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তিনি।

Comments are closed.