চিট ফান্ড তদন্ত: এবার গ্রেফতার পৈলান কর্ণধার অপূর্ব সাহা, রাজনৈতিক যোগের খোঁজে সিবিআই

সারদা, রোজভ্যালির পর এবার পৈলান। ৫৭৫ কোটি টাকা কেলেঙ্কারির অভিযোগে পৈলান গোষ্ঠীর কর্ণধার অপূর্ব সাহাকে গ্রেফতার করল সিবিআই। মঙ্গলবার অপূর্ব সাহার সংস্থার বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে বাজার থেকে প্রায় ৫৭৫ কোটি টাকা তোলার অভিযোগে তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সঠিক তথ্য না পাওয়ায় অভিযোগে পরে গ্রেফতার করা হয় বলে খবর। সিবিআই সূত্রে খবর, পৈলান চিট ফান্ড কেলেঙ্কারিতেও শাসক ও বিরোধী দলের একাধিক নেতা জড়িত আছেন। তাঁদের প্রভাবেই পৈলানের ব্যবসার বহর বেড়েছিল।
সিবিআই তদন্তে জানা গিয়েছে, যে সময় সারদা ও রোজভ্যালি চিট ফান্ডের ব্যবসা যখন রমরমিয়ে চলছিল, তখনই পৈলান গোষ্ঠীর কর্ণধার অপূর্ব সাহাও একাধিক স্কিম খুলে বাজার থেকে টাকা তোলা শুরু করেন। অল্প সময়ে বেশি বিপুল টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শুরু হয় পৈলান চিট ফান্ড ব্যবসা। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই এই ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়া হয়। আমানতকারীদের অনেকেই এরপর পুলিশের দ্বারস্থ হন। এরপর, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের বিভিন্ন চিটফান্ড মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পর, বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি পৈলানের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়। জানা যায়, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) ও অন্যান্য নিয়ামক সংস্থার অনুমতি ছাড়াই ব্যবসা শুরু করে দেন অপূর্ব সাহা।
পৈলানের বিভিন্ন অফিসে তল্লাশি চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি ও সিসিটিভি ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। এই ভিডিও ফুটেজ থেকে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে অপূর্ব সাহার সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আসে বলে সিবিআইয়ের দাবি। তদন্তে জানা যায়, ঘুরপথে আমানতকারীদের অর্থ কাজে লাগিয়ে ফুটবল টিম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি থেকে একাধিক ব্যবসা খোলা হয়। শুধু তাই নয়, সিবিআইয়ের অভিযোগ, অপূর্ব সাহা নিজের অ্যাকাউন্টেও এখান থেকেই টাকা গিয়েছে। এমনকী, সংস্থার নামে কেনা জমি পরে পৈলান কর্ণধার নিজের নামে করেন বলে অভিযোগ। আমানতকারীদের থেকে নেওয়া বিপুল অর্থ কোথায় রাখা হয়েছে এখন তার তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পাশাপাশি, অপূর্ব সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই দফতরে একাধিক রাজনৈতিক নেতার ডাক পড়তে বলে খবর।

 

Comments are closed.