গরু পাচারের তদন্তে প্রথম দিন বিএসএফ কর্তা এবং এনামুলের সম্পত্তির পরিমাণ দেখে স্তম্ভিত সিবিআই! বহু প্রভাবশালী যোগের হদিস

গরু পাচার চক্রের তদন্তে বুধবার সারা দিন কলকাতা সহ রাজ্যের ১২ টি জায়গায় তল্লাশিতে উঠে আসা তথ্য দেখে বিস্মিত সিবিআই। তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, গরু পাচারের টাকায় সতীশ কুমারের মতো বিএসএফ-কর্তা বিপুল সম্পত্তি করেছেন। পাশাপাশি, এনামুল হকের মতো পাচারকারীরা অজস্র বেনামি সংস্থা খুলে কয়েকশো কোটি টাকার লেনদেন চালিয়েছেন বহু বছর ধরে। প্রথম দিনের তল্লাশিতে গরু, সোনা, মাদক পাচারে যুক্ত থাকা সম্পর্কের হদিস মিলেছে বলে তদন্তকারী সংস্থার দাবি। সেই সূত্রে একে একে এই চক্রের সকলকেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তারা। তার মধ্যে রয়েছে এরাজ্যের অনেক প্রভাবশালীর নামও।

গত ২১ সেপ্টেম্বর গরু পাচার মামলাটি নতুন করে নথিভুক্ত করে সিবিআই।পরদিন আসানসোল আদালত থেকে তল্লাশির অনুমতি নেয় সিবিআই। তারই জেরে বুধবার দিনভর চলে তল্লাশি। এনামুলের কলকাতার কয়েকটি বাড়ি এবং মুর্শিদাবাদের কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। সিবিআইয়ের দাবি, এনামুল গরু পাচারের পাশাপাশি চাল কল, বাংলাদেশে চাল-পেঁয়াজ রফতানি, আবাসন ও নির্মাণ শিল্প, পাথর খাদান, বালির কারবারে যুক্ত। তাঁর একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৩০ কোটি টাকার হদিস পাওয়া গিয়েছে। অন্য একটি অ্যাকাউন্টে মিলেছে ১০ লক্ষ ডলারের খোঁজ। তাছাড়া নামে-বেনামে বহু সম্পত্তির হদিস মিলেছে। সিবিআই কর্তারা জানাচ্ছেন, দু’একটি অ্যাকাউন্টে এই পরিমাণ টাকা থাকলে এনামুল বাহিনীর হাতে কী পরিমাণ নগদ রয়েছে, তা সহজেই বোঝা যায়।

বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমারের সম্পত্তি দেখেও চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারীদের। তাঁর সল্টলেকে একটি বাড়ি ও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। গাজিয়াবাদে তিনটি বাড়ি, দু’টি জমির প্লট, অমৃতসরে বাগানবাড়ি, মুসৌরিতে হোটেল, রায়পুর ও শিলিগুড়িতেও জমি-বাড়ি রয়েছে। সল্টলেকের বাড়ি সিল করে দিয়েছে সিবিআই।

Comments are closed.