আইনজীবী দম্পতি ইন্দিরা জয়সিংহ এবং আনন্দ গ্রোভারের বাড়ি ও অফিসে সিবিআই হানা, সমালোচনা বিরোধীদের

সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইন্দিরা জয়সসিংহ ও তাঁর স্বামী আইনজীবী আনন্দ গ্রোভারের বাসভবন ও অফিসে তল্লাশি অভিযান চালাল সিবিআই। আইনজীবী দম্পতি ও তাঁদের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টা নাগাদ তাঁদের দিল্লির বাসভবনে তল্লাশি শুরু করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসাররা। সেইসঙ্গে আইনজীবী দম্পতির দিল্লি ও মুম্বইয়ের অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘লইয়ার্স কালেক্টিভ’ বিদেশি অনুদানের অপব্যবহার করে টাকা বিদেশে পাচার করেছে। সেই সঙ্গে আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল থাকাকালীন একাধিকবার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার টাকায় বিদেশ ভ্রমণ করেন। অভিযোগ, সে সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমতির কোনও তোয়াক্কা করেননি আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ। পাশাপাশি, আইনজীবী আনন্দ গ্রোভার ও তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অভিযোগ, ২০০৬ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩২ কোটি টাকা অনুদান পান তাঁরা। সেই টাকার অপব্যবহার হয় এবং বিদেশে পাচার করা হয়। ২০১০ সাল নাগাদ বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নজরে আসে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অভিযোগের ভিত্তিতে কিছুদিন আগেই এফআইআর দায়ের করেছিল সিবিআই। কিন্তু সে সময়ে এফআইআরে আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেনি কেন্দ্রীয় সংস্থা। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পরে আর্থিক দুর্নীতিতে তাঁকেও অভিযুক্ত করে। সিবিআই সূত্রে খবর, নীতি বিরুদ্ধভাবে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা থেকে প্রায় ৯৬ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নিতেন আইনজীবী জয়সিংহ।
আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ ও আনন্দ গ্রোভার এবং তাঁদের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘লইয়ার্স কালেক্টিভ’ এক প্রেস বিবৃতি দিয়ে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
বিখ্যাত আইনজীবী দম্পতির বাড়ি ও অফিসে সিবিআই তল্লাশির ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি এক ট্যুইটে লেখেন, আইন আইনের পথে চলবে। কিন্তু যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে শাসন ও সংবিধানের অধিকার নিয়ে লড়াই করে আসছেন, তাঁদের বাড়ি, অফিসে সিবিআই লেলিয়ে দেওয়া প্রতিহিংসামূলক বলে ট্যুইটারে মন্তব্য করেন আম আদমি নেতা।

Comments are closed.