জনগণনার কাজ করতে অস্বীকার করলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীর ৩ বছরের জেল, এনপিআরের কাজ না করলেও পড়তে পারে কোপ, হুঁশিয়ারি কেন্দ্রের

জনগণনা (Census Work) ও এনপিআরের কাজ করতে না চাইলে যে কোনও রাজ্য সরকারি আধিকারিকের ৩ বছরের জেল হতে পারে। ভারত জনগণনা আইন মেনে রাজ্য সরকার ও কর্মচারীদের জনগণনা ও জনসংখ্যাপঞ্জি বা এনপিআরের কাজ করতেই হবে, নাহলে কড়া পদক্ষেপের মুখোমুখি হতে হবে সরকারি আধিকারিকদের। কেন্দ্রের শীর্ষ আধিকারিক সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে শুক্রবার।
দ্য ইকনমিক টাইমস কেন্দ্রের এক শীর্ষ আধিকারিকের তথ্য উদ্ধৃত করে লিখেছে, আদমশুমারি আইন ও নাগরিকত্ব আইন, ২০০৩ মেনে কাজ করার জন্য যে কোনও রাজ্য সরকারি কর্মচারী বাধ্য। এই নাগরিকত্ব আইন ২০০৩ মেনে এনপিআর বা জনসংখ্যাপঞ্জি তৈরি হয়। তাই এনপিআরের কাজ করতে না চাইলে আইন অনুযায়ী ওই সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা যেতে পারে বলে দাবি কেন্দ্রীয় আধিকারিকের। যে কর্মচারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনগণনার তথ্য সংগ্রহ করবেন এবং জনগণনাকারী অফিসার, উভয়ের ক্ষেত্রেই এই আইন প্রয়োগ হতে পারে।
ভারতের আদমশুমারি আইন অনুযায়ী (Census Work), রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন নির্দেশ অনুযায়ী জনগণনার করেন। এই জনগণনার কাজে প্রিন্সিপাল সেনসাস অফিসার অর্থাৎ জেলা শাসকের উপর দায়িত্ব থাকে। তারপর থাকেন মহকুমা শাসক, সুপারভাইজার এবং গণনাকারী অফিসার। আদমশুমারি আইনের ১১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জনগণনার কাজ করতে কোনও দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিক অসম্মতি জানালে তাঁর তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা জরিমানা হতে পারে। একইরকমভাবে এনপিআর বা জনসংখ্যাপঞ্জির কাজ করতে অস্বীকার করলে সেই আধিকারিক এক হাজার টাকা জরিমানার মুখোমুখি হতে পারেন ২০০৩ সালের নাগরিকত্ব আইনের ১৭ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী। তাছাড়াও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কড়া সাজা পেতে পারেন ওই আধিকারিক।
২০২১ সালের জনগণনার জন্য হাউসলিস্টিং কাজের সঙ্গে এনপিআরের কাজ সম্পর্কযুক্ত। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ, কেরল সহ অ-বিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্য এনপিআরের কাজ মুলতুবি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের অভিযোগ, এনপিআরের সঙ্গে এনআরসি-কে জড়িয়ে ফেলেছে কেন্দ্র। কিন্তু রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা যদি এনপিআরের কাজ করতে না চান সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের তরফে আইনি হাতিয়ার আছে বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রের ওই শীর্ষ আধিকারিক।

Comments are closed.