অস্বস্তিতে ছত্রধর, হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানাল NIA, সোমবার রায়

অস্বস্তিতে ছত্রধর মাহাতো। লালগড় আন্দোলনে পুলিশ সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটির নেতা ছত্রধর মুক্তি পেয়েছেন সম্প্রতি। তারপর তাঁর বিরুদ্ধে পুরনো মামলা নিয়ে ফের তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা

NIA। জ্বর, শ্বাসকষ্ট সব মিলিয়ে করোনার (Covid-19) উপসর্গ! এই কারণ দেখিয়ে শুক্রবার NIA’‌র বিশেষ আদালত চত্বরে উপস্থিত থেকেও হাজিরা এড়ালেন ছত্রধর মাহাতো (Chatradhar Mahato)। এক দশকেরও বেশি পুরোনো দু’‌টি মামলায় ছত্রধরকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বিশেষ আদালতে আবেদন জানায় NIA। যদিও এই আবেদনের প্রেক্ষিতে কোনও নির্দেশ এদিন আদালত দেয়নি। আগামী সোমবার এ ব্যাপারে চূড়ান্ত রায় জানাবেন NIA’‌র বিশেষ আদালতের বিচারক।

২০০৯ সালে লালগড়ের ধরমপুরে খুন হন সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতো। ওই বছরই দিল্লি–ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেস ছিনতাইয়ের চেষ্টা হয়। এই দু’‌টি ঘটনাতেই জঙ্গলমহলের তৎকালীন নেতা ছত্রধর মাহাতোর নাম উঠে আসে। আপাতত দু’‌টি মামলার তদন্তভার NIA’‌র হাতে রয়েছে। সেই সূত্রেই, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গত অগাস্ট মাসের শেষে শালবনির কোবরা ক্যাম্পে ছত্রধরকে দু’‌দফায় ম্যারাথন জেরা করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এরপর গত সপ্তাহে ছত্রধর মাহাতো সহ ৩০ জন অভিযুক্তকে হাজিরার নির্দেশ দেয় NIA’‌র বিশেষ আদালত। লালগড় থানার আইসি মারফত ছত্রধর ও অন্যান্য অভিযুক্তদের সেই নির্দেশ ধরানো হয়। এদিন সময়মতোই আদালতে উপস্থিত হন ছত্রধর। কিন্তু আদালতে মামলার শুনানি চলাকালীন তাঁকে গাড়ির মধ্যে বসে থাকতে দেখা যায়। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী। শুনানি পর্ব শেষ হতেই ছত্রধর যে গাড়িতে বসেছিলেন সেদিকে এগিয়ে যান তাঁর আইনজীবী কৌশিক সিনহা। তারপরই আদালত চত্বর ছেড়ে বেরিয়ে যায় ছত্রধরের গাড়ি।

ওই গাড়িতেই কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে আসেন ছত্রধর। কিছুক্ষণ পরে আবার তিনি বেরিয়ে যান। পরে তিনি বলেন, ‌‌গায়ে জ্বর। বুকে ব্যথা রয়েছে। শরীর অসুস্থ। পরীক্ষা করাতে এসেছিলাম।‌

 

 

Comments are closed.