অমিত শাহের বিরুদ্ধে ইশরত জাহান মামলায় চিদম্বরম বদলেছিলেন হলফনামা! ৩ বছরের পুরনো খবর ফের আলোচনায়

২০০৪ সালে ইশরাত জাহান এনকাউন্টার মামলায় নিজের হাতে হলফনামা বদলে দিয়েছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। ২০১৬ সালের ২ রা মার্চ এমনই খবর প্রকাশিত হয়েছিল সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিক দ্য ইকনমিক টাইমসে। এই মামলাতেই জেলে যেতে হয়েছিল গুজরাতের তৎকালীন মন্ত্রী অমিত শাহকে। ৩ বছর আগে ইকনমিক টাইমসে প্রকাশিত এই খবর, ফের শিরোনামে উঠে এসেছে যখন আইএনএক্স মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন চিদম্বরম।

২০০৪ সালে গুজরাতে এনকাউন্টারে ইশরত জাহানের মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে ভুয়ো এনকাউন্টারের। ইকনমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহারাষ্ট্র ও গুজরাত পুলিশের পাশাপাশি ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর কাছ থেকে সংগ্রহ করা তথ্য সমৃদ্ধ প্রথম এফিডেভিটে বলা হয়, মুম্বইয়ের বাসিন্দা বছর ১৯ এর ওই তরুণী ছিলেন জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সক্রিয় কর্মী। সেই হলফনামাই চিদম্বরম নিজের হাতে সংশোধন করেন বলে ইকনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে বদলে যায় দ্বিতীয় এফিডেভিট। সূত্রের খবর, এই পরিবর্তিত হলফনামা নিয়ে কোনও আপত্তি তোলেননি তৎকালীন স্বরাষ্ট্র সচিব জি কে পিল্লাই। পরিবর্তিত এফিডেভিটে বলা হয়েছিল, এমন কোনও অকাট্য তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি যার দ্বারা প্রমাণিত হয় ওই তরুণী সন্ত্রাসবাদী।
ইকোনমিক টাইমসের ওই রিপোর্ট বলছে, সূত্র মারফত জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৩ শে সেপ্টেম্বর জি কে পিল্লাই মামলার আসল এফিডেভিটটি তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদম্বরমকে পাঠান। প্রথম এফিডেভিট দেখার পর তাতে কিছু পরিবর্তন করে, চিদম্বরম লেখেন ”as amended”, এরপর আদালতে চূড়ান্ত হলফনামা পেশ করার আগে তাঁকে দেখিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
২০০৯ সালের ২৪ শে সেপ্টেম্বর, স্বরাষ্ট্র সচিব পিল্লাই ফাইলে লেখেন, একটি নতুন কপি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেখানো হয়েছে। সেই ফাইলে লেখা ছিল, সংশ্লিষ্ট হলফনামার একটি করে কপি কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী এবং অ্যাটর্নি জেনারেলকে পাঠাতে হবে। যদিও ইকোনমিক টাইমস সূত্রে খবর, সেসময় অ্যাটর্নি জেনারেল দিল্লিতে না থাকায় তাঁকে জানানো যায়নি।

Comments are closed.