এয়ারসেল ম্যাক্সিস মামলায় অতিরিক্ত চার্জশিটে এক নম্বরে নাম পি চিদাম্বরমের

প্রায় ৩৫০০ কোটি টাকার বহু চর্চিত এয়ারসেল ম্যাক্সিস মামলায় অতিরিক্ত চার্জশিটে পয়লা নম্বরে নাম রয়েছে দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমের। যৌথভাবে এই মামলার তদন্ত চালাচ্ছিল সিবিআই ও ইডি। জানা গেছে, দিল্লি হাইকোর্টে ইডি এর তরফে পেশ করা এই অতিরিক্ত চার্জশিটে চিদাম্বরম ছাড়াও নাম রয়েছে তাঁর ছেলে কার্তি চিদাম্বরম এবং কার্তির সংস্থার অ্যাকাউনটেন্ট ভাস্কর রমনের। এই মামলার পরবর্তী শুনানি দিল্লি হাইকোর্টে আগামী ২৬ নভেম্বর।
সিবিআই-এর দাবি, নিজের পদ ও ক্ষমতা ব্যবহার করে পি চিদাম্বরম সেসময় মরিশাসের সংস্থা ম্যাক্সিসকে এয়ারসেলে বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পাইয়ে দিয়েছিলেন, তার ফলে এয়াররেল টেলিভেঞ্চার নামে সংস্থাটি কার্তি চিদাম্বরমের ঘনিষ্ঠ এক সংস্থাকে ২৬ লক্ষ টাকা ঘুষ দেয়।
সিবিআই-এর দাবি, ২০০৬ সালে ম্যাক্সিস নামক সংস্থাটি এয়ারসেলে প্রায় ৮০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে চায়। সেসময় মনমোহন সিংহের নেতৃত্বে কেন্দ্রে প্রথম ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় ছিল। নিয়ম অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন আর্থিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বিশেষ কমিটির সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল এই বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে। কিন্তু এই প্রস্তাবে ছাড়পত্র দেওয়া হয় তৎকালীন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের হাতে থাকা অর্থ দফতরের তরফে। যদিও নিয়ম অনুযায়ী, ৬০০ কোটি টাকার বেশি কোনও বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব এলে তা অর্থমন্ত্রক অনুমোদন করতে পারে না, প্রয়োজন পড়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন বিশেষ কমিটির ছাড়পত্রের। অভিযোগ ছেলেকে আর্থিক সুবিধা পাইয়ে দিতেই চিদাম্বরম এই বেআইনি কাজ করেন।
যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পি চিদাম্বরম ও কার্তি চিদাম্বরম। তাঁদের দাবি, প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করছে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার।

Comments are closed.