নবজাতকদের জন্য ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট তৈরিতে দেশের মধ্যে এক নম্বরে পশ্চিমবঙ্গ

গত ৮ বছরে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিশেষ নজর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। শিশুমৃত্যু ঠেকাতে ও নবজাতকদের স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিশেষ নজর দিয়ে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট তৈরি করে নজির সৃষ্টি করল পশ্চিমবঙ্গ।
দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট (এসএনসিইউ), সিক নিউবর্ন স্টেবিলাইজেশন (এসএনএসইউ), পেডিয়াট্রিক ইনটেন্সিভ কেয়ার ইউনিট (পিআইসিইউ) ও নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট (এনআইসিইউ) তৈরি হয়েছে এ রাজ্যে।
তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার আগে রাজ্যে মাত্র ৬ টি এসএনসিইউ ছিল। তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ টি। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে এই বিভাগে মোট শয্যাসংখ্যা ২ হাজার ২১৭ টি। কিছুদিনের মধ্যে শ্রীরাম ওয়ালশ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে শুরু হতে চলেছে আরও একটি সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট। পাশাপাশি, রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলিতে মোট ৩০৭ টি এসএনএসইউ তৈরি হয়েছে। এছাড়া ১৩ টি পিআইসিইউ ও ১৫ টি ইনআইসিইউ গঠনের কাজ ইতিমধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে।
শিশু স্বাস্থ্যের উপর গুরুত্ব দিয়ে ক্যালকাটা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পেড্রিয়াটিক নিফ্রোলজি ওয়ার্ডে ৪ টি ডায়ালিসিস মেশিন আনা হয়েছে।
সারা বাংলার শিশুদের বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধকের জন্য টিকাদানের বিশেষ উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। সেখানেও প্রায় ১০০ শতাংশ সাফল্য পেয়েছে বলে দাবি রাজ্যের। পাশাপাশি অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের স্বাস্থ্য পরিষেবায় অধিক গুরুত্ব দিয়ে ৫১ টি নিউট্রিশন রিহ্যাবিলেশন সেন্টার (এনআরসি) তৈরি হয়েছে বিভিন্ন জেলায়। দেশে প্রতি ১ হাজার নবজাতকের মধ্যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয় অপুষ্টি সহ বিভিন্ন অসুখ ও চিকিৎসা সংক্রান্ত জটিলতায়, সেখানে রাজ্য সরকারের এই সর্বান্ত চেষ্টায় বাংলায় নবজাতকের মৃত্যু হার ২৫ শতাংশে নেমে এসেছে।

 

Comments are closed.