নবম বর্ষের কলকাতা ক্রিসমাস ফেস্টিভাল শুরু হচ্ছে ১৬ ডিসেম্বর, চলবে ৩০ তারিখ পর্যন্ত, বড়দিনকে কেন্দ্র করে একগুচ্ছ পরিকল্পনা পর্যটন দফতরের

উজ্জ্বল রং-বেরঙের আলো, কেকের গন্ধ, মুখে জল এনে দেওয়া নানা লোভনীয় পদ, বাতাসে হিমেল হাওয়া, ক্রিসমাস ট্রি, সান্তা দাদুর লাল টুপি পরা পথচারীদের ভিড়। ক্রিসমাসের সময় পার্ক স্ট্রিটের রাস্তা এভাবেই বর্ণময় হয়ে ওঠে। যা বছরের অন্যান্য সময়ের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এ বছর নবম বছরে পা দিচ্ছে কলকাতা ক্রিসমাস ফেস্টিভাল। আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এই উৎসব, চলবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। যৌথভাবে এই উৎসবের আয়োজন করছে কলকাতা কর্পোরেশন, কলকাতা পুলিশ, রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি বিভাগ এবং এপিজে সুরেন্দ্র গোষ্ঠী। রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন শনিবার কলকাতায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও এই ফেস্টিভালের উদ্বোধন করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর শুরু হয় এই ক্রিসমাস ফেস্টিভাল।
ইন্দ্রনীল সেন জানান, ফেস্টিভ্যালে ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে অংশ নেবেন বিভিন্ন শিল্পী। থাকবে কলকাতা পুলিশ ব্যান্ডের পারফরম্যান্স। বাংলাকে আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে তুলে ধরতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তারই অন্যতম অঙ্গ কলকাতা ক্রিসমাস ফেস্টিভাল। ইন্দ্রনীল সেন আরও জানিয়েছেন, দুর্গা পুজো কার্নিভালের মতো জনপ্রিয় হচ্ছে ক্রিসমাস ফেস্টিভাল। সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন দেশ-বিদেশের বহু মানুষ। এবারও এই ফেস্টিভালের আসরে থাকছে বিভিন্ন স্টল। সেখাবে পাওয়া যাবে নুডুলস, কেক, পেস্ট্রি, মোমো থেকে শুরু করে হরেক রকমের খাবার। ওই সময় অনুষ্ঠানস্থলে পর্যটন দফতরের তরফে স্টল দেওয়া হবে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। সেখানে রাজ্যের নানা প্রান্তের বিভিন্ন পর্যটন স্থলের তথ্য সম্বলিত বুকলেট পাওয়া যাবে। পার্ক স্ট্রিট, অ্যালন পার্ক এবং সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল সাজিয়ে তোলা হবে।
তবে শুধু কলকাতা নয়, ক্রিসমাস উপলক্ষ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ৯ টি চার্চকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, চন্দননগর, ব্যান্ডেল, কৃষ্ণনগর, বারুইপুর চার্চ সাজিয়ে তোলা হচ্ছে রঙিন আলোয়। ওই সময় চন্দননগর এবং শিলিগুড়ির বিশ্ববাংলা হাটে বিশেষ বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। এছাড়াও মন্ত্রী জানিয়েছেন এই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে সবুজের ব্যবহার নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার চেষ্টা হবে। স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে হবে সবুজের উপর বিভিন্ন ক্যুইজ। বিভিন্ন এনজিও অংশ নেবে তাতে।

 

Comments are closed.