CAB ও NRC র বিরোধিতায় আজ থেকে পথে নামছেন মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যজুড়ে শান্তি ফেরানোর আহ্বান, কর্মসূচি বামেদেরও

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে ও রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা ফেরানোর আহ্বান জানিয়ে আজ রাস্তায় নামছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোম, মঙ্গল ও বুধবার, টানা তিন দিন কলকাতায় মিছিল করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যে একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে বামেরাও। ১৯ ডিসেম্বর বামেদের পক্ষ থেকে কলকাতায় কেন্দ্রীয় মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে সোমবার পথে নামছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগের ঘোষণা মতো, এদিন বেলা ১ টার সময় বি আর আম্বেদকরের মূর্তির সামনে একত্রিত হবেন আন্দোলনকারীরা। এরপর মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশ হয়ে মিছিল যাবে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি। মিছিলেন নেতৃত্বে থাকবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।
গত বৃহস্পতিবার রাতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সংশোধিত নাগরিকত্ব বিলে সম্মতি দেওয়ার পরেই এই আইনের বিরোধিতা করেন তৃণমূল নেত্রী। বাংলা ছাড়াও, আরও পাঁচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন কেন্দ্রের এই ‘অসাংবিধানিক’ আইন তাঁরা নিজেদের রাজ্যে প্রয়োগ করতে দেবেন না।
এদিকে গত তিন দিন ধরে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গণ্ডগোলের খবর উঠে এসেছে। আন্দোলন চরম আকার নিয়েছে মুর্শিদাবাদে। এই জেলার একাধিক রেল স্টেশনে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া, ভাঙচুরের খবর উঠে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী বারবার আবেদন করেছেন, হিংসার আশ্রয় নয়, গণতান্ত্রিক পথে কেন্দ্রীয় আইনের বিরোধিতা করার জন্য। তিনি সতর্ক করেছেন, যাঁরা আন্দোলনের নামে হিংসা ছড়াবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে রাজ্য প্রশাসন।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার কেন্দ্রের নতুন নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসির বিরুদ্ধে মিছিল করছেন মুখ্যমন্ত্রী। মিছিলে বিজেপি ছাড়া যে কোনও রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্টজনদের আহ্বান করেছেন তিনি। সোমবারের পর আবার মঙ্গলবার একই ইস্যুতে মিছিল বের করবেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই দিন যাদবপুর এইট বি বাসস্ট্যান্ড থেকে ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজার পর্যন্ত মিছিল হবে। বুধবারও বেলা ১ টায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এনআরসি-র বিরুদ্ধে মিছিলের কর্মসূচি রয়েছে। সেদিন হাওড়া ময়দান থেকে মিছিল শুরু হয়ে পৌঁছবে ডরিনা ক্রসিংয়ে।
এদিকে গত তিন দিনে যেভাবে আন্দোলনে বিক্ষিপ্ত অশান্তি ছড়িয়েছে তাতে রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, সেনা নামানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।

 

Comments are closed.