বিজেপিকে উৎখাত করলে দেশে প্রকৃত স্বাধীনতা আসবেঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বুধবার সকালে স্বাধীনতা দিবসের দিন সকালে লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা তুলে চার বছরের কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্যের খতিয়ান দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার ঠিক আগেই মঙ্গলবার রাতে স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে আগামী লোকসভা ভোটে দেশকে বিজেপিমুক্ত করার ডাক দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার রাতে বেহালায় স্বাধীনতা দিবসের এক অনুষ্ঠানের সূচনায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বছর বিজেপিকে উৎখাত করে প্রকৃত স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের শপথ নিতে হবে, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপিকে দিল্লি থেকে উৎখাত করে আমরা দেশকে স্বাধীন করবই।’ বিজেপির নাম করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘তোমাদের চার বছর ধরে দেখছি, আরও ছ’মাস দেখব। তারপর তোমরা দেখবে দেশের মানুষ কী বলে।’
অসমের নাগরিকপঞ্জি ইস্যু নিয়ে এমাসের গোড়া থেকেই টানা বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে দাঁড়িয়ে সরাসরি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ফেলার ডাক দিয়েছেন তিনি। গত শনিবারই কলকাতার মেয়ো রোডের জনসভায় এই ইস্যুতে তৃণমূলকে পালটা আক্রমণ করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সোমবার কারও নাম না করেই বিধানসভায় নিজের ঘরে বসে এর জবাব দেন মমতা। বিজেপিকে সরাসরি বাঙালি বিরোধী আখ্যা দেন তিনি। বলেন, ‘বিজেপি উগ্রপন্থা ভাবনাচিন্তা ছড়িয়ে দেশের ঘৃণার পরিবেশ তৈরি করছে।’ মঙ্গলবার বিকেলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদীর নাম করেই অভিযোগ করেছিলেন, ‘তাঁরাও তাঁদের বাবা-মায়ের জন্মের সার্টিফিকেট দেখাতে পারবেন না।’ অসমে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ৪০ লক্ষ মানুষের নাম নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে ফের অভিযোগ করেন তিনি।
লোকসভা ভোটের পারদ ইতিমধ্যেই চড়তে শুরু করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও তীব্র আক্রমণ শানাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদীকে লক্ষ্য করে। সম্প্রতি দিল্লি সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখা করেছেন সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। এবার স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালেও নরেন্দ্র মোদী সরকারকে আগামী বছর দিল্লি থেকে উৎখাতের ডাক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Comments are closed.