বুলেট, হিংসা দিয়ে নয়, কাশ্মীর সমস্যার সমাধান সম্ভব সৌহার্দ্যের মধ্যে দিয়ে। বুধবার দেশের ৭২ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে দিল্লির লালকেল্লা থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর নিজের ভাষণে এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন তিনি বলেন, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপায়ীর দেখানো পথে, কাশ্মীরি সংস্কৃতি মেনে মানবিকতা ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সেখানকার মানুষের সঙ্গে সৌহার্দ্যের সম্পর্কের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। যা হিংসা ও বুলেট দ্বারা কখনওই সম্ভব নয়। পাশাপাশি, দেশজুড়ে ঘটে চলা মহিলাদের উপর যৌন অত্যাচার ও ধর্ষণের মতো ঘটনার বিরুদ্ধেও ঐতিহাসিক লালকেল্লা থেকে এদিন কড়া বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, ‘ধর্ষণের মতো কদর্য মানসিকতা থেকে আমাদের সমাজকে মুক্তি দিতে হবে।’ দোষীদের জন্য কড়া শাস্তির প্রসঙ্গ টেনে মোদী বলেন, ‘এর বিরুদ্ধে জন সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে, এই ধরনের ঘটনায় কোনও অভিযুক্ত শাস্তি পেলে তাও প্রচার করতে হবে, যাতে অন্যরা এই ঘৃণ্য অপরাধ করার সাহস দেখাতে না পারে।’ তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন, ‘দেশে আইনের শাসন আছে, তা নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই।’ এছাড়াও উত্তর-পূর্ব ভারতের অধিকাংশ এলাকা থেকে ‘আফস্পা’ যাতে প্রত্যাহার করা যায়, সে চেষ্টাও সরকার করছে বলে এদিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিনের ভাষণে একাধিক ভবিষ্যৎ প্রকল্প-পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। বলেছেন, ২০২২ সালের মধ্যে, সম্পূর্ণ দেশিয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজের ক্ষমতায় ভারত মহাকাশে পাঠাবে দেশের মহাকাশচারীদের। মহাকাশে পৌঁছবে তেরঙ্গা পতাকা। পাশাপাশি, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে দেশে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পের আওতায়, ‘প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য অভিযান’ শুরু হতে চলেছে বলে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আওতায় আসবে দেশের প্রায় ১০ কোটি পরিবার। পরিবার পিছু মিলবে সর্বোচ্চ পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য-বিমার সুবিধা। উপকৃত হবেন দেশের ৫০ কোটি নাগরিক।
Comments are closed.