ঘনবসতিপূর্ণ কলকাতায় সংক্রমণ বেশি, তবে আশঙ্কার কিছু নেই, সাংবাদিক বৈঠকে বললেন স্বরাষ্ট্র সচিব, সরাসরি করোনায় মৃত বেড়ে ৭২

অনেকেরই আশঙ্কা ছিল, বিপুল ঘনবসতিপূর্ণ কলকাতায় করোনাভাইরাসের প্রকোপ বুঝি ভয়াবহ হবে। কিন্তু কলকাতাবাসী এবং পুলিশ প্রশাসন যেভাবে লকডাউনকে সফল করে তুলেছেন, মনে হয় না তাঁরা আর আশঙ্কায় আছেন বলে, বুধবার নবান্ন থেকে এমনই মন্তব্য স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন ব্যানার্জির। জানালেন, রাজ্যে সরাসরি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মোট ৭২ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪৫৬, তার মধ্যে চিকিৎসাধীন ১০৪৭ জন।
বুধবার নবান্ন থেকে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির হাল জানাতে বসে স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলা এবং বিশেষ করে কলকাতায় জনসংখ্যার চাপ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় অনেকটাই বেশি। তাই কোভিড 19 এর মতো মারণ রোগ ভয়াবহ আকার নিতে পারে এই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়, এমনই ভেবে আশঙ্কায় ছিলেন বহু মানুষ।
দেখা গিয়েছে, কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাকি এলাকার তুলনায় অনেক বেশি। এবং কলকাতার পুর মানচিত্রে আর্থিকভাবে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা ওয়ার্ডেই করোনাভাইরাসের দাপট প্রবল।
গত সোমবার আমাদের করা খবরের নির্যাস ছিল, শহরে দরিদ্রতম অংশই কোভিড 19 সংক্রমণের প্রধান উৎস। কনটেইনমেন্ট তালিকা অনুযায়ী রোগ ধরা পড়ার নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে ৬ এবং ৭ নম্বর বরো, তারপরেই রয়েছে ৫ নম্বর বরো। ফলে একটা বিষয় পরিষ্কার, করোনা সংক্রমণ বাড়ছে মূলত অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মানুষের পাড়া ধরেই।
সোমবার কলকাতা পুলিশের জারি করা কনটেইনমেন্ট জোনের তালিকায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি এলাকা। মোট কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা হয়েছে ৩১৮। তাতেও এই চিত্রের বিপরীত কোনও ছবি নেই।
এবার এই প্রসঙ্গেই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব। বললেন, বিপুল ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় কলকাতা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু কলকাতাবাসী এবং পুলিশ প্রশাসন যেভাবে শৃঙ্খলাপরায়ণতার সঙ্গে লকডাউনকে সফল করেছেন, তা দেখে নিশ্চিন্ত হয়েছেন তাঁরা।

Comments are closed.