অফিসের কাছে বাড়ি বা ওয়াক টু ওয়ার্ক প্রকল্প নিয়ে সেক্টর ফাইভের আবাসনে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ সুবিধে একাধিক সংস্থার

ধীরে-ধীরে লকডাইন কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে দেশ। এদিকে অফিস, ব্যবসা ইত্যাদির কাজে রাস্তায় মানুষের ঢল নামলেও গন্তব্যে পৌঁছনোর যানবাহন পেতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে সবাইকে। এই পরিস্থিতিতে কর্মরতদের জন্য অভিনব সুবিধে নিয়ে এল একাধিক আবাসন সংস্থা। কাজের জায়গার কাছাকাছি থাকার জায়গা, এই সুবিধে নিয়ে ‘ওয়াক টু ওয়ার্ক’  প্রকল্প  নিয়ে এসেছে আইডিয়াল গ্রুপ (Ideal Group), ইউনিটেক গ্রুপ (Unitech Group) এবং মার্লিন গ্রুপ (Merlin Group) এর মতো বিখ্যাত আবাসন শিল্প সংস্থা।

রাজারহাট, সল্টলেকের মতো জায়গা, যেখান থেকে সেক্টর ফাইভ ও অন্যান্য জায়গার প্রচুর অফিস স্রেফ হাঁটার দূরত্বে অবস্থিত, সেখানে মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যেই তারা আবাসন তৈরি করছে। সময়ের দাবির দিকে খেয়াল রেখে মহেশতলার প্রায় ৫৩৫ কাঠা জায়গার উপর আইডিয়াল গ্রুপ তৈরি করেছে প্রোজেক্ট ‘অ্যাকোয়া ভিউ’। হাফিজ কন্ট্রাক্টরের ডিজাইন করা ৯৩৫ অ্যাপার্টমেন্টের আরামদায়ক বাতানুকূল অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি হয়েছে। ২, ৩ এবং ৪ বিএইচকে বিশিষ্ট এই অ্যাপার্টমেন্টগুলির সুযোগ-সুবিধা, দাম সবকিছুই চোখ টানবে তাঁদের, যাঁরা সেক্টর ফাইভের অফিসের কাছে বাড়ি কেনার পরিকল্পনা করছেন।

কেন বাড়ছে ওয়াক টু ওয়ার্ক (walk to work) এর চাহিদা?

অতি সংক্রামক করোনাভাইরাসের জন্য গত ২৪ মার্চ থেকে দেশজুড়ে শুরু হয় লকডাউন। স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত বন্ধের কারণে শুরু হয় ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ বা বাড়ি থেকে কাজ। সেই লকডাউন থেকে আনলক পর্যায়ে পৌঁছেছে দেশ। ফের অফিসে গিয়ে কাজ করতে হচ্ছে কর্মীদের। এদিকে আনলক পর্বে এখনও স্বাভাবিক হয়নি যান চলাচল। গণ পরিবহণের এই সমস্যা নিয়ে তীব্র ভিড় ঠেলে আশঙ্কা, আতঙ্ক নিয়ে রোজ অফিস যাতায়াত করতে হচ্ছে মানুষকে। তার উপর বাসের ভিড় এড়াতে অ্যাপ ক্যাব বা ট্যাক্সি ভাড়া করতে গেলে খসছে প্রচুর টাকা। এই পরিস্থিতিতে মানুষ এমন একটা জায়গায় থাকতে চাইছেন যেখান থেকে হেঁটে কাজে যাওয়া যায়। তাতে ভাড়াও বাঁচে আর সংক্রমণে আশঙ্কাও কমে। এখানেই উঠে এসেছে ‘ওয়াক টু ওয়ার্ক’ কনসেপ্ট।

কলকাতার সিংহভাগ অফিস যেহেতু সল্টলেক সেক্টর ফাইভ লাগোয়া, তাই মূলত অফিস যাত্রীদের চাহিদা বুঝে সল্টলেক, রাজারহাট অঞ্চলে আবাসন তৈরিতে বিশেষ নজর দিয়েছে আইডিয়াল, ইউনিটেক এবং মার্লিন গ্রুপ।

আইডিয়াল গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নকুল হিমতশিঙ্কা জানাচ্ছেন, করোনা ভাইরাস পরবর্তী দুনিয়ায় অফিসের কাছে থাকার প্রবণতা স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পাবে। সেই কথা মাথায় রেখেই মানুষের সাধ্যের মধ্যে এই প্রকল্প আনা হয়েছে।

মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যেই ২ থেকে ৪ বিএইচকে ভালো বাড়ির চাবি তাদের হাতে তুলে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। তিনি বলেন, ফ্ল্যাটের ডিজাইন থেকে পরিবেশ, যাতায়াতের সুবিধা সব ক্ষেত্রেই সুবিধাজনক এই ‘অ্যাকোয়া ভিউ’ প্রোজেক্টের আবাসন।

 

 

Comments are closed.