ফ্যাসিবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সিপিআইএমএলের গণ কনভেনশন, আমন্ত্রণ অপর্ণা সেন, গৌতম ঘোষ, তিস্তা শেতলবাদ, পরঞ্জয় গুহঠাকুরতাদের

দেশে বাড়ছে দলিত ও সংখ্যালঘুর ওপর ‘ফ্যাসিবাদীদের’ আক্রমণের ঘটনা। দ্বিতীয় মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণের উদ্যোগ, গণপিটুনির ঘটনা, সরকারের সঙ্গে মতানৈক্য হলেই দেশদ্রোহী তকমা দেওয়ার চেষ্টা, সর্বক্ষেত্রে বিভেদ ও বিদ্বেষ, এই সমস্ত অভিযোগ নিয়ে আগামী ৩০ শে জুলাই এক গণ কনভেনশনের ডাক দিল সিপিআইএমএল।
দলের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক চারু মজুমদারের জন্মশতবর্ষ ও সিপিআইএমএলের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মানবাধিকার কর্মী তিস্তা শেতলবাদ, সিনিয়র সাংবাদিক পরঞ্জয় গুহ ঠাকুরতা, ডাক্তার বিনায়ক সেন, চিত্র পরিচালক অপর্ণা সেন, গৌতম ঘোষ, নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক সেন, বিভাস চক্রবর্তীদের।
দলিত ও সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার, গণপিটুনির মতো ঘটনার প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার ৪৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি খোলা চিঠি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। সেই চিঠিতে সই ছিল ডাক্তার বিনায়ক সেন, অপর্ণা সেন, গৌতম ঘোষ, কৌশিক সেনদের। ‘ফ্যাসিবাদী আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে জনমত গঠনের জন্য এবার তাঁদেরকেই আমন্ত্রণ জানালো সিপিআইএমএল।
৩০ শে জুলাই সিপিআইএমএলের এই সম্মেলন মঞ্চে গণপিটুনিতে নিহত পেহলু খানের পরিবারকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ২০১৭ সালের এপ্রিলে রাজস্থানের দুধ ব্যবসায়ী পহেলু খানকে গো-পাচারকারী সন্দেহে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। পহেলু খানের মতোই গণপিটুনিতে নিহত হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারকেও সম্মেলনে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে সিপিআইএমএল।

কনভেনশনের পরের দু’দিন অর্থাৎ ৩১ শে জুলাই এবং ১ লা আগষ্ট মৌলালি যুব কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে গণতন্ত্র ও ধর্ম নিরপেক্ষতা বিষয়ে দলের সর্বভারতীয় ওয়ার্কশপ। ওয়ার্কশপে অংশ নেবেন বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিরা।

Comments are closed.