আরামবাগে সিপিএমের মহামিছিলে জনজোয়ার, বিজেপি-তৃণমূলকে বিঁধলেন সেলিম

কৃষি আইন প্রত্যাহারের স্লোগান ওঠে মিছিল থেকে

দীর্ঘদিন পর আরামবাগে মিছিল করল সিপিএম। হুগলি জেলা সিপিএমের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার মহা মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। জনসমাগম দেখে মুখে হাসি বাম নেতাদের। 

মিছিলের একেবারে সামনে ছিলেন পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম, শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, দেবব্রত ঘোষ সহ বাম নেতৃত্ব। মিছিল শুরু হয় আরামবাগের কালীপুর বাজার থেকে। তারপর রামকৃষ্ণ সেতু পেরিয়ে মহা মিছিল বাসস্ট্যান্ড, নেতাজি স্কোয়ার, বসন্তপুর, গৌরহাটি মোড় হয়ে বাসুদেবপুরে শেষ হয়।

সভা থেকে মহম্মদ সেলিম তীব্র আক্রমণ শানান বিজেপির দিকে। বলেন, বিজেপি বলছে ওরা নাকি তৃণমূলের অপশাসনের হাত থেকে বাংলাকে বাঁচাবে। সেলিমের প্রশ্ন, কে বাঁচাবে মুকুল রায় আর শুভেন্দু অধিকারী? সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্যের কটাক্ষ, ছোট চোর থেকে বড়ো চোরের পাল্লায় বসে দরদাম হাঁকাচ্ছে। সেলিমের নিশানা থেকে বাদ যায়নি তৃণমূলও। মানুষ নিজের অভিজ্ঞতায় বুঝেছে বিজেপি-তৃণমূল কী বস্তু! প্রাক্তন সাংসদের অভিযোগ মিডিয়া কেবলমাত্র তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যে লড়াই সীমাবদ্ধ রাখতে চাইছে। কিন্তু আপনাদের জনজোয়ার বলে দিচ্ছে মানুষের পক্ষ আসলে বামপন্থীরাই। 

মহামিছিলে যোগ দিতে গোঘাট, খানাকুল, পুরশুড়া, আরামবাগ থেকে লাল ঝাণ্ডা হাতে মিছিলে যোগ দিতে আসা মানুষের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। মহা মিছিলের উন্মাদনার শরিক হয়েছিলেন যাত্রাপথের দু’ধারে অপেক্ষমান জনতা। আরামবাগে দীর্ঘদিন পর সিপিএমের এত বড়ো মিছিল দেখে উত্তেজিত বাম কর্মী সমর্থকেরা। মিছিল থেকে কৃষি আইন প্রত্যাহার, পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমানো সহ একাধিক স্লোগান শোনা যায়। 

হাজির ছিলেন পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, হুগলি জেলা সিপিএমের সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ প্রমুখ। রাজনৈতিক সন্ত্রাসকে উপেক্ষা করে আরামবাগে যেভাবে হাজার হাজার মানুষ আবার লাল ঝাণ্ডা কাঁধে পথে নামলেন তা আশাবাদী করছে হুগলি জেলা তথা রাজ্যের বাম নেতৃত্বকে। 

Comments are closed.