সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়ে হাইপ তৈরি করা উচিত নয়, বললেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটনেন্ট জেনারেল

‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার বা একে ঘিরে ‘হাইপ’ তৈরি করাকে অনভিপ্রেত বলে মনে করেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটনেন্ট জেনারেল ডি এস হুদা। তাঁর মতে, সন্ত্রাসবাদ আটকাতে সার্জিকাল স্ট্রাইক হতেই পারে এবং সেই অপারেশনে সাফল্য এলে তা অবশ্যই আনন্দের। কিন্তু সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়ে অযথা ‘হাইপ’ তৈরি করার পক্ষপাতী নন এই অবসরপ্রাপ্ত লেফটনেন্ট জেনারেল।
চন্ডিগড়ের মিলিটারি লিটারেচার ফেস্টিভ্যালে (এমএলএফ) একটি আলোচনাসভায় অংশগ্রহণ করেছিলেন লেফটনেন্ট জেনারেল ডি এস হুদা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পঞ্জাবের রাজ্যপাল ভি পি সিংহ বাদনোরসহ প্রাক্তন জেনারেল ও মিলিটারি অফিসাররা। আলোচনা সভার বিষয় ছিল ‘রোল অব ক্রস বর্ডার অপারেশন অ্যান্ড সার্জিকাল স্ট্রাইক’। আলোচনা প্রসঙ্গে লেফটনেন্ট জেনারেল ডিএস হুদা, ২০১৬ সালের ২৯ শে সেপ্টেম্বরের সার্জিকাল স্ট্রাইকের উদাহরণ টেনে বলেন, কিছু পরিস্থিতিতে সার্জিকাল স্ট্রাইক আবশ্যিক হয়ে পড়ে। আর তা সৈনিকদের কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে। অপারেশনে সাফল্য এলে তা অবশ্যই অভিনন্দনযোগ্য। তবে এই অপারেশন নিয়ে অযথা কিছু রাজনৈতিক দল প্রচার করে বলে তিনি মনে করেন।
২০১৬ সালে উরিতে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় ১৯ জন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু হয়। পাল্টা সার্জিকাল স্ট্রাইক করে ভারতীয় সেনা। লেফটনেন্ট জেনারেল হুদা ২০১৬ সালের ওই সার্জিকাল স্ট্রাইকের সরাসরি সম্প্রচার দেখেছেন। সেই সার্জিকাল স্ট্রাইককে রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার একেবারেই পক্ষপাতী নন তিনি। তাঁর মতে সার্জিকাল স্ট্রাইকের মতো বিষয়কে গোপনীয় রাখাই বাঞ্ছনীয়।
কিছুদিন আগে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও একই মত পোষন করেছিলেন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কটাক্ষ করে বলেছিলেন, সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়ে বিভিন্ন সভায় প্রচার চালিয়ে মোদী নিজের দেশপ্রেমিক ‘ইমেজ’ বানাতে চান। তিনি জানান, কংগ্রেস সরকারের আমলেও সার্জিকাল স্ট্রাইক হয়েছে কিন্তু তা নিয়ে কখনও প্রচার করেনি কংগ্রেস। কারণ, রাহুল মনে করেন, দেশের স্বার্থে এই বিষয়গুলি গোপনীয় থাকা বাঞ্ছনীয়। সেই একইরকম মন্তব্য উঠে এলো লেফটনেন্ট জেনারেল হুদার গলাতেও।

Comments are closed.