গুজরাত দাঙ্গার তদন্তে নরেন্দ্র মোদীকে স্বস্তি দেওয়া বর্তমান এনআইএ ডিজি যোগেশ চন্দ্র মোদী কি পরবর্তী সিবিআই প্রধান

আগামী ২৪ শে জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি মিটিংয়ে বসে চূড়ান্ত করবে দেশের পরবর্তী সিবিআই ডিরেক্টর কে হবেন। কারা রয়েছেন এই দৌড়ে তা নিয়েই এখন জল্পনা দেশজুড়ে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ডিরেক্টর পদের জন্য চার জনের নাম শোনা যাচ্ছে।
তাঁরা হলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্পেশাল সেক্রেটারি রিনা মিত্র, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) ডিরেক্টর জেনারেল আর কে মিশ্র, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) ডিরেক্টর জেনারেল ওয়াই সি মোদী এবং সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের (সিআইএসএফ) ডিরেক্টর জেনারেল রাজেশ রঞ্জন। এই চার জনেরই সিবিআইয়ে কাজ করার পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে।
সূত্রের খবর, সিবিআই অধিকর্তা হওয়ার দৌড়ে অন্যান্যদের থেকে এগিয়ে রয়েছেন এনআইএ-এর ডিরেক্টর জেনারেল যোগেশ চন্দ্র মোদী। ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা কী ছিল তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে বিশেষ তদন্তকারী দলকে দায়িত্ব দেয়, সেই দলে ছিলেন ওয়াই সি মোদী। নরেন্দ্র মোদীকে সেই কেসে সন্দেহমুক্ত করে ওই তদন্তকারী দল (এসআইটি)। ২০০৩ সালে গুজারাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হরেন পান্ডিয়া খুনের তদন্তভার বর্তায় তৎকালীন সিবিআই অফিসার ওয়াই সি মোদীর হাতে। সেই কেসেও নরেন্দ্র মোদীকে স্বস্তি দিয়েছিল তাঁর তদন্ত রিপোর্ট। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, ওয়াই সি মোদীর এনআইএ প্রধান থেকে সিবিআই ডিরেক্টর হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, অলোক ভার্মাকে সিবিআই অধিকর্তার পদ থেকে অপসারণের পরে অন্তর্বর্তীকালীন সিবিআই অধিকর্তার পদে বহাল করা হয়েছে এম নাগেশ্বর রাওকে। ইতিমধ্যেই নাগেশ্বর রাওকে এই পদে বসানোয় কেন্দ্রের সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিরোধীরা। নাগেশ্বর রাওকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সিবিআই-এর অন্তর্বর্তীকালীন ডিরেক্টরের পদে বসানোর অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। পাশাপাশি, কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাগড়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, নাগেশ্বর রাওকে বেআইনিভাবে সিবিআই প্রধানের পদে বহাল করা হয়েছে। শীঘ্রই নতুন সিবিআই আধিকারিক নিয়োগের জন্য কমিটি গঠন করতে হবে।
সিবিআই অধিকর্তা নিয়োগের কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি ছাড়া প্রধান বিরোধী দলের নেতা হিসেবে রয়েছেন মল্লিকার্জুন খাগড়ে।

Comments are closed.