ডায়মন্ড হারবারে ধস: ট্যুইট তরজা সুজন-অভিষেকের! ‘ম্যানমেড’ বললেন সিপিএম নেতা, জায়গার নাম ঠিক লিখুন, কটাক্ষ সাংসদের

ডায়মন্ড হারবার শহরের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশে ধসের জেরে আপাতত বন্ধ ওই রাস্তায় যান চলাচল। তবে শুক্রবার বিকেলের মধ্যেই ওই অংশ দিয়ে ছোট গাড়ি চলাচল শুরু করা যাবে বলে মনে করছেন ইঞ্জিনিয়াররা। পুরো কাজ শেষ করতে লেগে যাবে প্রায় দু’সপ্তাহ। এর মধ্যেই জাতীয় সড়কের ধস নিয়ে তরজা জমে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে এই ধসকে ‘ম্যানমেড’ বলে ট্যুইট সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর। সুজনের ট্যুইট তুলে ধরে পাল্টা ডায়মন্ড হারবার জায়গাটির নাম ভুল লেখার জন্য সিপিএম নেতাকে পালটা কটাক্ষ অভিষেকের।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা নাগাদ ডায়মন্ড হারবারের মহকুমা শাসকের অফিসের সামনে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে নদী সংলগ্ন অংশে ধস নামে। মুহূর্তে কাকদ্বীপ থেকে কলকাতায় যাওয়ার মূল সড়ক বন্ধ হয়ে যায়।
রাস্তার যে অংশটি ভেঙেছে, তার পাশেই গঙ্গার পাড়ে সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, সেই কাজের জন্যই রাস্তা ধসেছে। যদিও তা মানতে রাজি নন পূর্ত দফতরের কর্তারা। তাঁদের দাবি, সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে কয়েক মাস ধরে। সমস্যা হলে তো আগেই ধস নামতো।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ৩ টে নাগাদ নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে কয়েকটি ছবি সহ একটি ট্যুইট করেন সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। সেখানে স্থানীয় সাংসদ অভিষেককে ট্যাগ করে তিনি লেখেন, ‘আরও একটি ম্যানমেড বিপর্যয় বিপর্যয়। নদীর ধারে বাগান তৈরি চলছে অথচ সেচ দফতরের বিশেষজ্ঞরা নেই! কাটমানির লক্ষণ?’ এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে সুজন চক্রবর্তীর প্রশ্ন, কার দায়িত্ব?

আধ ঘণ্টার মধ্যে সুজন চক্রবর্তীর ট্যুইটের পাল্টা জবাব এল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজস্ব হ্যান্ডেল থেকে। সুজনের ট্যুইটে ইংরেজিতে ডায়মন্ড হারবার লিখতে গিয়ে বাদ পড়েছিল ‘এ’ অক্ষরটি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ভুল ধরিয়ে দিয়ে লেখেন, ‘মাননীয়, এটা ডায়মন্ড হারবার, আপনি যেমন লিখেছেন ডিমন্ড নয়। আপনাকে আশ্বস্ত করছি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেরামতির কাজ শেষ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হবে। দয়া করে সময় বের করে আগামীকাল ফের আসুন এবং ছবি পোস্ট করে আপনার অনুগামী ও শুভানুধ্যায়ীদের জানান।’

স্থানীয় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মধ্যে এই ট্যুইট-যুদ্ধে নতুন করে শুরু হয়েছে ধসের কার্য-কারণ নিয়ে চর্চা। নেটিজেনদের দাবি একটাই, তরজা চলুক সোশ্যাল মিডিয়ায়, মেরামতির কাজ হোক দ্রুত লয়ে।

Comments are closed.