দিদিকে বলো: ৩ বছরের শিশু ফিরে পেল নতুন জীবন, এসএসকেএমে হৃদযন্ত্রের অস্ত্রোপচার করে বাড়ি ফিরল ছোট্ট দেবিকা

‘দিদিকে বলো’র নম্বরে যোগাযোগ করে ৩ বছরের শিশুর নতুন জীবন ফিরে পেলেন হাওড়া জেলার সুরজিৎ হাজরা ।
হাওড়া জেলার পাঁচলা এলাকার বাসিন্দা সুরজিৎ হাজরা। বৃদ্ধ বাবা, স্ত্রী ও ৩ বছরের মেয়ে দেবিকাকে নিয়ে কোনওরকম দিন গুজরান হয় তাঁদের। কিন্তু বিনামেঘে বজ্রপাতের মতো কয়েকমাস আগে শিশুকন্যা দেবিকার হৃদযন্ত্রে ফুটো ধরা পড়ে। কয়েক মাস ধরে প্রায়শই শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগতো দেবিকা। স্থানীয় চিকিৎসকরা জানান, যত শীঘ্র সম্ভব অস্ত্রোপচার করতে হবে। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে সুরজিৎবাবুর। কোনও নিয়মিত আয় নেই। ছোটখাটো কাজ করে দৈনিক মজুরি পান ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। এদিকে বাবার বয়স হয়েছে। বয়সের ভারে তিনিও ছেলেকে সাহায্য করতে পারেন না। সেখান থেকে বেসরকারি হাসপাতালে মেয়ের চিকিৎসার কথা চিন্তার মধ্যেই আনেননি সুরজিৎ বাবু। অন্যদিকে, চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে প্রতিদিন ঘুরপাক খেতে খেতে আরও কয়েকটা দিন কেটে যায়।

অবশেষে স্থানীয় তৃণমূল নেতা রমজান মোল্লার দ্বারস্থ হন তিনি। রমজান মোল্লাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ববন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দিদিকে বলো’র নম্বরে ফোন করেন। এর কয়েকদিন পরেই ‘দিদিকে বলো’ টিমের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় সুরজিৎ হাজরার সঙ্গে। ছোট্ট দেবিকার ভর্তির ব্যবস্থা হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। গত ১ লা অক্টোবর এসএসকেএমে ভর্তি হয় দেবিকা। অস্ত্রোপচারও ভালোয়-ভালোয় হয়ে যায়। দীর্ঘ ২১ দিন হাসপাতালে থেকে গত ২২ শে অক্টোবর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ছোট্ট দেবিকা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করতে গিয়ে গলা ধরে আসে সুরজিৎ হাজরার। বলেন, এই সুপারিশ আর স্থানীয় নেতা রমজান মোল্লার সহায়তা না পেলে কী যে হত… খেটেখুটে দৈনিক আয় ২৫০ টাকা। কিন্তু মেয়েকে উচ্চশিক্ষিত করার ইচ্ছে সুরজিৎবাবুর। বলেন, এভাবে সবাই পাশে থাকলে মেয়ে একদিন নিশ্চয়ই অনেক বড় হবে।

Comments are closed.