২০১৭ সালে দেশদ্রোহিতার মামলা আগের বছরের তুলনায় ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, এক নম্বরে বিজেপি শাসিত অসম

২০১৭ সালে গোটা দেশে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা আগের বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৫ শতাংশ! ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) সাম্প্রতিক প্রকাশিত রিপোর্টে জানা যাচ্ছে এই তথ্য।
দেশের অপরাধ সংক্রান্ত ২০১৭ সালের এনসিআরবি রিপোর্ট গত সোমবারই প্রকাশ্যে এসেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ এনসিআরবি তাদের ওয়েবসাইটে ২০১৭ সালের এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৭ সালে গোটা দেশে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা হয়েছে ৫১ টি, গ্রেফতার করা হয়েছে ২২৮ জনকে। সেখানে ২০১৬ সালে দেশদ্রোহিতার ৩৫ টি মামলায় ৪৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
এনসিআরবি রিপোর্ট জানাচ্ছে, ২০১৭ সালে সবচেয়ে বেশি দেশদ্রোহিতার মামলা হয়েছে বিজেপি শাসিত অসমে। এরপরই রয়েছে আর এক বিজেপি শাসিত রাজ্য হরিয়ানা। দেশদ্রোহিতার মামলায় তিন, চার এবং পাঁচ নম্বরে রয়েছে হিমাচল প্রদেশ, ওড়িশা এবং তামিলনাড়ু।
২০১৬ সালে যে রাজ্যে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে একটিও মামলা হয়নি, এক বছরের মধ্যে সেই অসমেই ১৯ টি মামলা হয়েছে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে। অসমের পরেই দু’নম্বরে থাকা হরিয়ানায় ২০১৭ সালে ১৩ টি দেশদ্রোহিতার মামলা হয়েছে।
এনসিআরবি’র তথ্য বলছে, ২০১৭ সালে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র ৪ জন দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া মোট ২২৮ জন ব্যক্তির মধ্যে ৩ জন নাবালক এবং ৯ জন মহিলা।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে দেশদ্রোহিতার মামলা নিয়ে তরজা শুরু হয়। বিজেপি এই আইনের অপব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। যা নিয়ে বিরোধীদের বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ তোলে বিজেপি।
গত বছর দেশের আইন কমিশন এক রিপোর্টে বলেছিল, দেশদ্রোহিতার আইন নিয়ে ফের বিবেচনা করা উচিত। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সম্প্রতি রাজ্যসভায় এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, রাষ্ট্রদ্রোহিতা আইন বিবেচনার জন্য কোনও প্রস্তাব আসেনি। বরং দেশদ্রোহী, বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসবাদীদের ঠেকাতে রাষ্ট্রদ্রোহিতার বিশেষ আইন প্রয়োজন।

Comments are closed.