রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের জল্পনায় নয়া মাত্রা ধনখড়-অমিত শাহ বৈঠকের পর! সুর চড়ালেন দিলীপও

দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। জানিয়েছিলেন, বিধানসভা ভোটে রাজ্যের বর্তমান প্রশাসনিক পরিকাঠামো ব্যবহারের অনুপযুক্ত।

তবে দিল্লিতে বসে রাজ্যকে নিয়ে রাজ্যপালের বিষোদগারকে ভালোভাবে নেয়নি তৃণমূল। সঙ্গে সঙ্গে জবাব দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। রাজ্যপালের সমালোচনায় সরব হয়েছে সিপিএম, কংগ্রেসও। প্রত্যাশিতভাবেই রাজ্যপালের পাশে দাঁড়িয়েছে বঙ্গ বিজেপি।

রাজ্যপালের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের জন্য সওয়াল করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘বিজেপি নৈতিকভাবে ৩৫৬ ধারার পক্ষে নয়। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতায় আসা উচিত। আমরাও আসব। কিন্তু গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকলে তখন ৩৫৬ ধারা জারির পরিস্থিতি আসবে। তখন আমরাও ভেবে দেখব। রাষ্ট্রপতি শাসন পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে।’

এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী খোদ বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের এই দাবিকে সঙ্গত বলে মন্তব্য করেছিলেন। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে বাংলায় ভোটের আগে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির আবেদন রাজ্যপাল ধনখড়ও জানিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এবার একই সুরে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির জন্য সওয়াল করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্যপালকে সমর্থন করে দিলীপবাবুর মন্তব্য, ‘এ রাজ্যে পুলিশ-প্রশাসন সরকারের হিংসার নীতিকে মদত দিচ্ছে। রাজ্যপাল সত্যি কথাই বলেছেন।’

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনুমান, এভাবে ভোটের আগে তৃণমূলের উপর চাপ বৃদ্ধি করে যাবে বিজেপি। কিন্তু মোদী-অমিত শাহও ভালো জানেন, বাংলায় নির্বাচিত সরকার ভেঙে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করলে তার বিষময় ফল ভোগ করতে হতে পারে ব্যালট বাক্সে। সেক্ষেত্রে সহানুভূতির হাওয়ায় সওয়ার হয়ে বিজেপিকে ছিন্নমূল করে দিতে পারেন মমতা। তাই আপাতত মৌখিক চাপের রাজনীতিতেই নিজেদের আবদ্ধ রাখছে বিজেপি।

Comments are closed.