১০ অগাস্ট থেকে প্রাথমিকে শিক্ষকতায় আবশ্যিক ডিএলএড কোর্সে ভর্তি শুরু, আসন প্রায় ৪৬ হাজার

শুরু হচ্ছে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষকতার চাকরির জন্য আবশ্যিক ডিএলএড-এ ভর্তির প্রক্রিয়া। আগামী ১০ অগাস্ট থেকে ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন (ডিএলএড) কোর্সের ৪৫ হাজার ৭০০ আসনে ভর্তি শুরু করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। শুক্রবার ঘোষণা করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য।

ডিএলএড কোর্সে আবেদন করতে হলে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। সেই সঙ্গে আবেদনকারীকে অবশ্যই রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।

রাজ্যজুড়ে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৬৪৯ টি ডিএলএড কলেজ রয়েছে। তার মধ্যে সরকারি কলেজে আসন সংখ্যা ৩ হাজার ৭০০ টি। আর বাংলা মাধ্যমের আসন সব মিলিয়ে ৪৫ হাজার ২০০ টি। এ বছর প্রথম সাঁওতালি মাধ্যমের জন্য ৫০ টি আসন সংরক্ষিত করা হয়েছে। এছাড়া হিন্দি, নেপালি ও উর্দুতে যথাক্রমে ৩০০, ১০০ এবং ৫০ টি করে আসন সংরক্ষিত রয়েছে।

আগামী ১০ অগাস্ট থেকে www.wbbpe.org এবং http://wbbprimaryeducation.org– এই দুটি ওয়েবসাইটে আবেদন করতে পারবেন আগ্রহীরা।

শুধু অনলাইন অ্যাডমিশন নয়, করোনা পরিস্থিতিতে ক্লাসও অনলাইনেই করার পরিকল্পনা নিচ্ছে পর্ষদ। তার জন্য প্রার্থীদের কাছ থেকে তাঁদের মোবাইল ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চাওয়া হয়েছে। তাতে গুগল মিটের লিঙ্ক পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেখানে রেজিস্টার করে ঢুকলে পড়ুয়াদের উপস্থিতি নথিভুক্ত হয়ে যাবে।

প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষকতার চাকরির জন্য ডিএলএডের শংসাপত্র এখন আবশ্যিক। গত বছর এই কোর্সের জন্য রাজ্যে প্রায় পাঁচ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছিল। এবার সেই সংখ্যা পেরিয়ে যাবে বলে আশা পর্ষদের।

এদিকে গতবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা অর্থাৎ, টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট) এ পাশ করা প্রায় দেড় হাজার চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন, যাঁরা সে সময় প্রশিক্ষণ ছিল না বলে চাকরি পাননি। কিন্তু পরে ডিএলএড করেছেন। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা দাবি করছেন, সরাসরি নিয়োগের। কিন্তু পর্ষদ জানাচ্ছে, বিজ্ঞপ্তির সময় তাঁদের যে যোগ্যতা ছিল, সেটাই গ্রাহ্য হবে। তাঁদের অগ্রাধিকারের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারের কোনও নির্দেশিকা নেই। সব ঠিক হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও লকডাউনের জন্য এবারের টেট শেষ মুহূর্তে আটকে গিয়েছে বলে জানাচ্ছে পর্ষদ। উল্লেখ্য, উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ডিএলএড কোর্সের সঙ্গে বিএডকেও গ্রাহ্য করতে বলেছে শিক্ষক শিক্ষণের কেন্দ্রীয় নিয়ামক সংস্থা এনসিটিই। সেক্ষেত্রে আবার উচ্চমাধ্যমিক নয়, প্রার্থীর ন্যূনতম যোগ্যতা হবে স্নাতক।

Comments are closed.