মহামেডানকে ৩-২ গোলে হারিয়ে লিগ শীর্ষে ইস্টবেঙ্গল, ইতিহাস ছোঁয়া হল না সাদা-কালো ব্রিগেডের

ইতিহাস আর ছুঁয়ে দেখা হল না মহামেডান স্পোর্টিংয়ের। ৩৮ বছর পর কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন, অধরাই রয়ে গেল‌। মহামেডান স্পোর্টিংয়ে লিগ জয়ের আশা শেষ করে, চ্যাম্পিয়নশিপের কাছে পৌঁছে গেল ইস্টবেঙ্গল। আলেজান্দ্রোর দল জিতল ৩-২ গোলে। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে তিনটি গোল করেন পিন্টু মাহাতো, কোলাডো এবং মার্কোস। মহামেডানের হয়ে গোল দুটি করেন করিম এবং আর্থার। এই জয়ের ফলে ১০ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে কলকাতা লিগের শীর্ষে ইস্টবেঙ্গল। ১১ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ অভিযান শেষ করল মহামেডান স্পোর্টিং। শেষ দুই ম্যাচে মোহনবাগান এবং পিয়ারলেসকে হারিয়ে লিগ যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছিল মহামেডান স্পোর্টিং। সেই সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেল বৃহস্পতিবার।
তুমুল বৃষ্টির মধ্যেই শুরু হয় খেলা। ১২ মিনিটের মাথায় ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন, পিন্টু মাহাতো। কমলপ্রীত সিংহের ভাসানো সেন্টারে দুরন্ত হেডে গোল করেন পিন্টু মাহাতো। ২৩ মিনিটে সমতায় ফেরে মহামেডান। এ বিষয়ে অবশ্য ভাগ্যের সহায়তা পায় তারা। করিম ওমোলোজার ফ্রি কিক ক্লিয়ার করতে গিয়ে জালে ঢুকিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ স্টপার বোরহা। ৪৩ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। লালরিনডিকা রালতের কর্নারে কোলাডোর হেড জালে ঢোকার মুখে হাত দিয়ে আটকান মহামেডান ডিফেন্ডার সইফুল রহমান। ফিরতি বলে আশির আখতারের হেড জালে যায়। তবে গোল না দিয়ে পেনাল্টি দেন রেফারি। লাল কার্ড দেখানো হয় সইফুলকে। পেনাল্টি থেকে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন হাইমে‌ কোলাডো।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আক্রমনাত্মক ফুটবল খেলে মহামেডান স্পোর্টিং। অন্যদিকে মার্কোসকে নামিয়ে আক্রমণে জোর দেন স্প্যানিশ কোচ। ৬০ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে ইস্টবেঙ্গলের জয় নিশ্চিত করেন মার্কোস। ম্যাচের শেষের দিকে অবশ্য চাপে পড়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ৮৩ মিনিটে গোল করে ম্যাচ জমিয়ে দেন মহামেডানের আর্থার। দশ জনের মহামেডানকে আটকাতে তখন হিমশিম খাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ। শেষ মুহূর্তে একটি বল ক্রসবারে না লাগলে জেতা হত না ইস্টবেঙ্গলের।

Comments are closed.