পেট্রল-ডিজেলের পথ ধরে মহার্ঘ ডিম থেকে রান্নার তেল, মাথায় হাত মধ্যবিত্তের

একদিকে করোনার প্রকোপ। চিকিৎসকরা বলছেন এই সময় দরকার রোজ একটা করে ডিম। কিন্তু সেই ডিমের দামে মাথায় হাত আমজনতার। এক একটা ডিম কিনতে হচ্ছে ৭ থেকে ৮ টাকায়। কোনও কোনও জায়গায় প্রতি পিসের দাম ৯ টাকা। কিন্তু সরকার ডিম বিক্রি করছে পিস প্রতি ৪.৫০ টাকায়। কিন্তু আশেপাশে সরকারি স্টল খুঁজে না পেয়ে বাধ্য হয়েই বেশি দাম দিয়েই ডিম কিনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের দাবি বাড়ানো হোক সরকারি স্টলের সংখ্যা।

এই বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন প্রাণিসম্পদ বিকাশমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি জানিয়েছেন, বেসরকারি বাজারে ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে শীঘ্রই পদক্ষেপ করবে সরকার সঙ্গে সরকারি ডিমের স্টলের সংখ্যা বাড়ানো হবে।

সকালে বাজার ফিরতি মানুষের কথায় ওই সময় ইমিউনিটি বাড়াতে দরকার মাছ, মাংস, ডিমের। কিন্তু মাছ, মাংসের দামের থেকে অনেকটাই কম দাম ডিমের। কিন্তু এখন সেই ডিম কেনই দুষ্কর। মাস কয়েক আগেও যে ডিম কেনা হত জোড়া ১০ টাকায়। এখন তা কিনতে হচ্ছে ১৬ থেকে ২০ টাকায়। অন্যদিকে বিক্রেতাদের দাবি বেশি দাম দিয়ে ডিম কিনতে হচ্ছে তাঁদের। বিক্রি করার পর লাভ খুব কমই থাকছে।
তাঁদের জানাচ্ছেন, রাজ্যের ৫৫ শতাংশ পোলট্রির ডিম আসে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, হরিয়ানা থেকে। করোনার কারণে চলছে না বেশি গাড়ি। চাহিদা অনুযায়ী ডিম আসছে না বাংলায়। ফলে দাম চড়া হয়েছে। একই কথা বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ পোলট্রি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মদনমোহন মাইতি।

Comments are closed.