ইভিএম বাতিল থেকে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সংসদে সরব তৃণমূল, পাশে ১৪ দল

ভোটে ইভিএম বাতিল করে ব্যালট ফেরানো, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা, লোকসভা ভোটে বিজেপির বিপুল অঙ্কের টাকা খরচের মতো অভিযোগ তুলে রাজ্যসভায় সরব হল তৃণমূল।
বুধবার রাজ্যসভায় ১০ মিনিটের ভাষণে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচন সম্পর্কিত বেশ কিছু সমস্যা তুলে ধরে তার সমাধানের দাবি তোলেন। ডেরেক দাবি করেন, ভোট সম্পর্কিত আইন সংশোধনের এবং বিজেপির উদ্যোগে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ -এর বদলে রাজ্যে রাজ্যে এক দফায় ভোট শেষ করা বেশি প্রয়োজনীয়।
লোকসভা ভোটে বিজেপির অভূতপূর্ব জয়লাভের পর কংগ্রেস, তৃণমূল, এসপি, বিএসপির মতো বিরোধী দলগুলি গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপি, ক্ষমতার যথেচ্ছ অপব্যবহার বা বিশাল অঙ্কের টাকা ছড়িয়ে ভোট কেনার মতো চাঞ্চল্যকর অভিযোগে সরব হয়েছেন। এদিকে সম্প্রতি দেশের ১৪৫ জন অবসরপ্রাপ্ত সিভিল সার্ভিস অফিসার, বিশিষ্টজন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন কমিশনকে। এই ইস্যুকে রাজ্যসভায় পেশ করেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন। রাজ্যসভার ভাষণে ডেরেকের অভিযোগ, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপেই সংশয় আর স্বচ্ছতার অভাব স্পষ্ট। লোকসভা ভোটের সময় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বাংলার একাধিক পুলিশ কর্তাকে সরানো, ভোটের পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় অফিসারদের নিয়োগে তীব্র আপত্তি করেন ডেরেক। তাঁর মত, সংসদের উচিত নির্বাচন সম্পর্কিত আইন সংশোধিত করে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে কলোজিয়াম গঠন করা। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদের আরও প্রশ্ন, যেখানে পশ্চিমবঙ্গের ৪২ টি লোকসভা আসনে ৭ দফায় ভোট করা হয়েছে, সেখানে তামিলনাড়ুর ৩৯ টি আসনে ভোট কেন এক দফায় সারা হল! তৃণমূল সাংসদের প্রশ্ন, যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের সব স্বাধীন সংস্থাকে নিজেদের সুবিধা মতো ব্যবহার করে, সে দেশে অবাধ ও স্বচ্ছ ভোট হওয়া কার্যত অসম্ভব।

Comments are closed.