আরও তীব্র কৃষক আন্দোলন, দিল্লি-নয়ডার চিল্লা সীমান্ত অবরোধ আন্দোলনকারীদের

আরও তীব্র হয়ে উঠছে কৃষক আন্দোলন। আন্দোলকারীরা যেন এখন আগের থেকেও বেশি প্রভাবশালী হয়ে উঠছে। যত দিন যাচ্ছে ততোই ছড়াচ্ছে আন্দোলনের ব্যাপকতা।
গত ১ ডিসেম্বর থেকে কৃষকরা নয়ডা-দিল্লি লিঙ্ক রোড আটকে আন্দোলনে বসে। বুধবার ফের পূর্ব দিল্লি থেকে রাজধানী থেকে ঢোকার প্রধান প্রবেশদ্বার চিল্লা সীমান্ত আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানা থেকে দিল্লি ঢোকার সব রাস্তায় বসে রয়েছেন কৃষকরা। এর মধ্যে সংযুক্ত কৃষি মোর্চা সরকারের প্রস্তাবও ফিরিয়েছে। এমনকী এই দোটানার মধ্যে সাফ আভাস, সরকারের তরফে আর কোনও প্রস্তাব কৃষকদের কাছে যাবে না। অন্যদিকে এই আন্দোলন এতোটাই ব্যাপক হয়ে উঠেছে যে, কিছু দিন আগেই ওয়াশিংটন ডিসি-র ভারতীয় দূতাবাসের বাইরে গান্ধী মেমোরিয়াল প্লাজার বাইরে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির মুখ ঢেকে দেওয়া হয়েছিল খালিস্থানি পতাকায়।
এমনকী সেখানে এই গোটা ঘটনা পুলিশের সামনে ঘটার পরেও তাঁরা আন্দোলঙ্কারীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারেননি। কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয়মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানান, কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষকদের আন্দোলনের পিছনে রয়েছে ‘শাহিনবাগ গ্যাং’। অবশ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই বক্তব্যে কৃষক আন্দোলন নিয়ে শিরোমনি অকালি দল প্রধান প্রকাশ সিংহ বাদল বলেন, কেন্দ্র বলছে চাষিদের জন্যই এই নয়া কৃষি আইন। এখন চাষিরাই তা চাইছে না, তাহলে কেন্দ্র কেন এত জোরাজুরি করছে! সব মিলিয়ে কৃষকরা এই আইন মানতে নারাজ, অন্যদিকে নিজেদের সিদ্ধান্ত বদলাতে অনড় কেন্দ্রীয় সরকারও।

Comments are closed.