অভব্য আচরণের অভিযোগে পদত্যাগ ফ্লিপকার্টের সিইও বিন্নি বনশলের, সংস্থার শীর্ষ পদ কি ওয়ালমার্টের হাতে চলে যাবে?

সংস্থায় অভব্য আচরণের অভিযোগ উঠছিল, তার জেরে ইস্তফা দিলেন ফ্লিপকার্টের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও বিন্নি বনশল। ব্যক্তিগত অভব্য আচরণের অভিযোগের জেরে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে খবর। ফ্লিপকার্টের জন্মলগ্ন থেকেই সংস্থার সঙ্গে জড়িত বিন্নি। কিন্তু সম্প্রতি কিছু ঘটনার জেরে তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হওয়ায় তিনি সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি ফ্লিপকার্ট ও তাদের সহযোগী সংস্থা ওয়ালমার্টের উদ্যোগে অনুসন্ধান করা হয়। তার পরেই বিন্নি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, মে মাসে ফ্লিপকার্টের ৭৭ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়েছিল মার্কিন রিটেল জায়ান্ট ওয়ালমার্ট। বিন্নির জায়গায় কল্যান কৃষ্ণমূর্তি দায়িত্ব সামলাবেন। জাবং ও মিন্ত্রা কোম্পানির প্রধানও থাকবেন কল্যান।
প্রসঙ্গত, এক বছর আগেই ফ্লিপকার্টের কমার্স প্ল্যাটফর্ম-এর প্রধান মুকেশ বনশল পদত্যাগ করেছিলেন। তবে তিনি ফ্লিপকার্টের উপদেষ্টা হিসেবে রয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর পদত্যাগের আগে ফ্লিপকার্ট-এর ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনা হয়েছিল। তখন শচীন বনশল নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং বিনি বনশলকে প্রধান নির্বাহী অফিসার (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়।
ফ্লিপকার্ট-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বিন্নি বনশল। শচীন বনশনের সঙ্গে মিলে তিনি এই ই-কমার্স কোম্পানি ফ্লিপকার্টের পত্তন করেন। সম্প্রতি ওয়ালমার্ট ফ্লিপাকার্টের বিশাল সংখ্যক শেয়ার কিনে নেওয়ার পরই নিজের অংশিদারীত্ব বেচে দিয়ে ফ্লিপকার্ট-কে বিদায় জানিয়েছিলেন শচীন। কিন্তু রয়ে গিয়েছিলেন বিন্নি বনশল। এবার তিনিও বিদায় নিলেন। তাঁর এই বিদায় সাময়িক না স্থায়ী তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে বিন্নির চলে যাওয়ার পর আপাতত সংস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে ফ্লিপকার্ট ও ওয়ালমার্টের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে। সংস্থার মধ্যে এমন কিছু মানুষ রয়েছেন যাঁরা তাঁদের দক্ষতায় এই সংস্থাকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলেও ওই বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু বিন্নির চলে যাওয়ার পর এই প্রশ্নও উঠছে, ফ্লিপকার্টের শীর্ষ সব পদই চলে যাবে মাঋন সংস্থা ওয়ালমার্টের হাতে?

Comments are closed.