উচ্চপদে ফ্রেশার্সদের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে দেশে, নতুনদের নিয়োগ করছে কোন কোন সংস্থা, দেখে নিন তার তালিকা

দীর্ঘ লকডাউনের পরে কাজের বাজার এখন কেমন, পদস্থ কাজের বাজারের হালহকিকত-ই বা কী? জানাচ্ছে সাম্প্রতিক সমীক্ষা।
আনলক ১ এর পর দেশে চাকরির বাজারে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে, জুন মাসে হোয়াইট কলার জব বা উচ্চপদস্থ পদে ফ্রেশার্সদের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও অতিমারির কোপ পড়ার পর, আগের চেয়ে ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ কমেছে সামগ্রিক কর্মীর চাহিদা। এমনই তথ্য দিচ্ছে বিভিন্ন জব সাইট।

 

আনলকের পর কোন কোন ক্ষেত্রে নতুনদের জন্য কাজের জায়গা বৃদ্ধি পাচ্ছে? 

আইটি সফটওয়্যার, ফার্মাসিউটিক্যাল, বায়োটেকনোলজি, বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং, মেডিক্যাল ও হেলথ কেয়ার, ব্যাঙ্কিং, ফিনান্সিয়াল সার্ভিস, ইনস্যুরেন্স (বিএফএসআই) ইত্যাদি ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি নতুন ছেলেমেয়ে চাওয়া হয়েছে। একেবারে ফ্রেশার্স থেকে ২ বছর পর্যন্ত কাজের অভিজ্ঞতা থাকা ছেলেমেয়ের চাহিদা বেড়েছে এই সমস্ত ক্ষেত্রে। আর যে কাজের প্রোফাইলে সর্বাধিক চাহিদা রয়েছে, সেগুলি হল সেলস ও মার্কেটিং একজিকিউটিভ, আইটি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, ডেভেলপার এবং টেলি-কলার।

 

কোন কোন সংস্থায় সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হচ্ছে? 

Freshersworld.com, Indeed.com, Naukri.com ইত্যাদি জব সাইটের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, যে সংস্থাগুলি সবচেয়ে বেশি ফ্রেশার্সদের নিয়োগ করছে তারা হল অ্যকসেঞ্চার (Accenture),  উইপ্রো (Wipro), মুথুট ফিনান্স (Muthoot Finance), আর্নেস্ট অ্যান্ড ইয়ং গ্লোবাল বিজনেস সার্ভিসেস (Ernst & Young Global Business Services), টেক মাহিন্দ্রা (Tech Mahindra), এমফাসিস(Mphasis), পেটিএম (Paytm), রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ (Reliance Industries), ডব্লুএনসি গ্লোবাল (WNS Global), এইচসিএল টেকনোলজি (HCL Technologies), বাজাজ ক্যাপিটাল (Bajaj Capital), টেসকো (Tesco), NTT, মাইক্রোল্যান্ড (Microland), ডেল (Dell) এবং  IBM India -এর মতো সংস্থা।
TeamLease-এর সংস্থা Freshersworld.com এর কাছে বর্তমানে ফ্রেশার্সদের জন্য সাড়ে তিন লক্ষ জব খোলা রয়েছে। যদিও মার্চ মাসের আগে এরা প্রতি মাসে কম করে ৫ লক্ষ চাকরিপ্রার্থীকে কাজের সন্ধান দিত। কিন্তু লকডাউনের পর ২৫ মার্চ থেকে ৩০ জুন ফ্রেশার্সদের নিয়োগ দাঁড়িয়েছিল মাত্র দেড় লক্ষে। সে জায়গা থেকে সাড়ে ৩ লক্ষে উঠে আসা যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক।
এই প্রসঙ্গে TeamLease ও Freshersworld-এর বিজনেস হেড কৌশিক ব্যানার্জি ইকনমিক টাইমস কে জানান, ২০০৮-০৯ সালের আর্থিক মন্দার পর এই লকডাউনে প্রায় ৭০ শতাংশ কাজের সুযোগ কমে গিয়েছিল। মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে ছাঁটাইয়ের মতো রাস্তা নিয়েছে কিছু সংস্থা। তবে আস্তে আস্তে তা কমছে। সংস্থাগুলিও ব্যবসায়িক স্বার্থ বুঝে ফের কর্মী নিয়োগ করতে শুরু করেছে বল মত কৌশিক ব্যানার্জির।
তবে ফ্রেশার্সদের কাজের সুযোগ যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি পরিশ্রম এবং প্রতিযোগিতাও আগের চেয়ে অনেক বেশি হয়ে যাবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

Comments are closed.