এবার দীপাবলীর মরসুমে সোনার দাম গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ২১ শতাংশ, ১০ গ্রাম সোনার দাম ছাড়িয়েছে ৩৮ হাজার টাকা

আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার এবং বিশ্ব ব্যাঙ্কের মতে বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দার প্রভাবে ভারতে কম আর্থিক বৃদ্ধি হতে চলেছে। এই পূর্বাভাসের ফলে ফের লাগামছাড়া হতে পারে সোনার মূল্যবৃদ্ধি।
তথ্য ও পরিসংখ্যান বলছে, এ বছর জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ভারতে সোনার দাম বেড়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ। গত বছর দীপাবলীর তুলনায় এ বছর এখনও অবধি সোনার দামে প্রায় ২১ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। ১৮ ই অক্টোবরের হিসেব বলছে, প্রতি ১০ গ্রাম সোনার মূল্য ভারতে দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ২৪১ টাকা।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, চিন এবং আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য দ্বন্দ্ব, স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং ব্রেক্সিট ইস্যু সোনার এই দ্রুতহারে মূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। তার উপর আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার এবং বিশ্বব্যাংকের মতো সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আর্থিক মন্দার যে পূর্বাভাস দিয়েছে তাও এই সোনার মূল্য বৃদ্ধির পেছনে ইন্ধন যুগিয়েছে।
ভারতের মতো দেশে বরাবরই সোনার চাহিদা চাহিদা বেশি এবং ৮০০ টন সোনা প্রতি বছর ভারতকে বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়।
এ দেশে স্বর্ণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতে এ বছর ঘরোয়াভাবে সোনার চাহিদা কম। গত বছরের তুলনায় এ বছর দশেরায় দেশে সোনার বিক্রি কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় সোনার মূল্য বৃদ্ধি এই চাহিদা কমার অন্যতম কারণ বলেই মত ব্যবসায়ীদের। অনেকের মতে, সোনা আমদানির উপর বাড়তি ইমপোর্ট ডিউটি সোনার দাম এই মূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। সোনার আমদানিতে ইমপোর্ট ডিউটি প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছে।
যার ফলে চলতি বছরে সোনা আমদানি প্রায় ১২ শতাংশ কমেছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫৬৫ টন সোনা বাইরে থেকে আমদানি করা হয়েছে, যা গত বছর এই একই সময়ে ছিল প্রায় ৬৪৪ টন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এভাবে চলতে থাকলে ১০ গ্রাম সোনার মূল্য আগামী এক বছরের মধ্যে এক ৪১ হাজার ৫০০ টাকা পেরিয়ে যেতে পারে।
উল্লেখ্য ভারতে মূলত সোনার অলংকারের চাহিদাই বেশি। কেউ কেউ বিনিয়োগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে সোনা কেনেন। অ্যামাজন, পেটিএম এর মতো ই-ওয়ালেট ব্যবহার করেও অনেকে সোনায় বিনিয়োগ করছেন, ভবিষ্যতের জন্য।

Comments are closed.