সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ‘ঐতিহাসিক’, মোদী-শাহের ‘রাজনৈতিক দূরদৃষ্টির’ প্রমাণ, নয়া আইনের সমর্থনে প্রস্তাব পাশ গুজরাত বিধানসভায়
বিক্ষোভ ও বিরোধিতার মধ্যে শুক্রবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হল, এদিন থেকেই দেশজুড়ে চালু হয়ে গেল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে গেজেট অফ ইন্ডিয়াতে। এদিনই প্রধানমন্ত্রী মোদীর রাজ্য গুজরাত বিধানসভাতে নয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে প্রস্তাব পাশ হয়েছে।
শুক্রবার গুজরাত বিধানসভায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করাকে ‘ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কেন্দ্রের এই নয়া আইন দেশের কোনও নাগরিকের নাগরিকত্বের উপর প্রভাব ফেলবে না। দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও স্বচ্ছন্দে থাকবেন।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়, ধর্মীয় কারণে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আগত সংখ্যালঘু শরণার্থীদের জীবনে স্থিতি ও উন্নতি আনবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। এই সঙ্কল্পপত্রে লেখা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নয়া নাগরিকত্ব আইন তৈরির মধ্য দিয়ে তাঁদের রাজনৈতিক দূরদৃষ্টির প্রমাণ দিয়েছেন। তাঁদের এই সিদ্ধান্ত সাহসী এবং ঐতিহাসিক। সঙ্কল্পপত্রে লেখা হয়েছে কেবল কিছু দেশবিরোধী এবং রাজনৈতিক দল এই আইনের বিরোধিতা করছে। তারা পাকিস্তানে সংখ্যালঘুরা অত্যাচারিত হলে নীরব থাকে। কিন্তু কেন্দ্রের নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এ দেশের সংখ্যাঘুদের ভয় দেখানো হচ্ছে যে তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে এই নয় আইনে। গুজরাত বিধানসভায় এই প্রস্তাবে প্রবল আপত্তি তুলেছিল কংগ্রেস। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য সহজেই তা পাশ হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ ডিসেম্বর সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে একটি প্রস্তাব পাশ হয় কেরল বিধানসভায়। বাম বিধায়কদের সেই প্রস্তাবে সায় দেয় রাজ্যে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস। সেই সঙ্কল্পপত্রে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে আবেদন করা হয়। প্রস্তাবে বলা হয়, এই নয়া নাগরিকত্ব আইন দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার মূলভাবনা ও সমান অধিকারের বিরোধী। তাই এই আইন ‘অসাংবিধানিক’।
যদিও অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন, যতই বিরোধিতা হোক, কীভাবে আইন কার্যকর করতে হয় তা তাঁরা জানেন।