জ্ঞানেশ্বরীকাণ্ডে অভিযুক্ত অমৃতাভ চৌধুরীকে জেরায় অসঙ্গতি পেল সিবিআই। রবিবার অভিযুক্তকে নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন অমৃতাভ। তাই এবার আসল অমৃতাভকে খুঁজতে ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই।
২০১০ সালে ২৮ মে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় প্রায় ১৫০ জনের। সেই দুর্ঘটনায় জীবিত থাকার পরেও নিজেকে মৃত হিসেবে দেখিয়ে রেলের ক্ষতিপূরণ ও চাকরির নেওয়ার অভিযোগ ওঠে অমৃতাভ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল অমৃতাভ মা ও বাবার বিরুদ্ধেও। শুক্রবার রাতে তাঁদের আটক করে সিবিআই। ধৃত ব্যক্তি অমৃতাভ চৌধুরী কিনা তা জানতে জোড়াবাগান এলাকায় প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা।
রবিবার অভিযুক্তকে রাতভর জেরায় অসঙ্গতি পায় সিবিআই। তাই যে ডিএনএন পরীক্ষার রিপোর্ট দেখিয়ে চাকরি পেয়েছিল অমৃতাভ, সেই রিপোর্টের দিকেই নজর দিচ্ছে সিবিআই।
সিবিআই সূত্রের খবর, অমৃতাভ ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছিলেন। কিন্তু জেরায় সে কথা মনেই করতে পারেননি সে।
সিবিআই সূত্রের খবর অমৃতাভ জানিয়েছেন, তিনি ২০১৭ সালে হঠাৎ ফিরে আসেন। দুর্ঘটনার পর স্মৃতিশক্তি হারিয়ে গিয়েছে তাঁর। তাই এত বছর কোথায় ছিলেন তা মনে নেই অমৃতাভের।
অন্যদিকে অভিযুক্ত অমৃতাভ চৌধুরীর বাবা এই ভুয়ো তথ্যের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
Comments are closed.