খড়গপুরের হেমা চৌবে ফিরলেন তৃণমূলে, কংগ্রেস নেত্রী ফেরায় আরও পোক্ত হবে সংগঠন, বলছে দল

মমতার ডাকে সাড়া দিয়ে তৃণমূলে ফিরলেন খড়গপুরের কংগ্রেস নেত্রী হেমা চৌবে। বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি অজিত মাইতির উপস্থিতিতে মহিলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হেমা চৌবে ও কংগ্রেসের প্রাক্তন টাউন প্রেসিডেন্ট দেবাংশু গাঙ্গুলি যোগ দেন তৃণমূলে। ট্যুইট করে এই দলবদলের কথা জানানো হয়।

বুধবার ১১ বছর পর কংগ্রেস ছেড়ে ফের তৃণমূলে যোগদান করলেন প্রয়াত সিপিআই সাংসদ নারায়ণ চৌবের পুত্রবধূ ও প্রয়াত তৃণমূল নেতা গৌতম চৌবের স্ত্রী হেমা চৌবে। হেমা তৃণমূলে যোগদানের পর খড়্গপুরে তৃণমূলের শক্তিবৃদ্ধি হল বলে মনে করছে ঘাসফুল নেতৃত্ব। বুধবার জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র ও দলের কো-অর্ডিনেটর খড়্গপুরের বিধায়ক প্রদীপ সরকার পতাকা তুলে দিয়ে হেমাকে দলে যোগদান করান। তৃণমূলে যোগ দেন কংগ্রেসের আর এক নেতা দেবাংশু গাঙ্গুলিও।

বুধবার তৃণমূলে যোগ দিয়ে হেমা চৌবে জানান, কংগ্রেসে যোগ্য নেতৃত্বের অভাব। কিন্তু তৃণমূলে মমতা ব্যানার্জির বলিষ্ঠ নেতৃত্ব রয়েছে। তাছাড়া কিছুদিন আগে প্রশান্ত কিশোরের টিমের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কলকাতায় ডেকে পাঠানো হয়। প্রস্তাব দেওয়া হয় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার। ভাবনাচিন্তা করেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন হেমা চৌবে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, হেমা দেবী যোগ দেওয়ায় আমাদের দলের লাভ হল। তাঁকে যথাযোগ্য সম্মান দেওয়া হবে।

২১ জুলাই তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি দলের পুরনো নেতা কর্মীদের দলে ফেরার ডাক দিয়েছিলেন। তার ১০ দিনের মধ্যে সেই ডাকে সাড়া দিয়ে তৃণমূলে ফেরেন দক্ষিণ দিনাজপুরের বিপ্লব মিত্র ও প্রশান্ত মিত্র। গত লোকসভা ভোটের পর দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা। কয়েকদিন আগে আলিপুরদুয়ারের কালচিনি বিধানসভার বিজেপি নেতা তথা পঞ্চায়েত প্রধান সন্দীপ এক্কা সহ ১৪ জন তৃণমূলে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন। সোমবারই পুরুলিয়াতে বিজেপির বাঘমুণ্ডি মণ্ডল কমিটি পুরোপুরি মিশে গিয়েছে তৃণমূলে। এবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের খাসতালুকে সংগঠন আরও পোক্ত করল তৃণমূল।

খড়গপুরের প্রবাদপ্রতিম নেতা প্রয়াত প্রাক্তন সিপিআই সাংসদ নারায়ণ চৌবের বড় ছেলে গৌতমের স্ত্রী হেমা। ২০০১ সালে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন গৌতম। কিন্তু যেদিন যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি নির্বাচিত হন, সেদিনই খড়গপুর শহরের মালঞ্চ জলযোগে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন গৌতম চৌবে। তারপর তৃণমূলের হাত ধরেই হেমার উত্থান। পরে অবশ্য গিয়েছিলেন কংগ্রেসে। ২০২১ এর বিধানসভার আগে ফিরলেন সেই তৃণমূলেই।

Comments are closed.