ভারতে করোনাভাইরাস রুখতে ‘গোমূত্র ও গোবর পার্টি’র আয়োজন হিন্দু মহাসভার

করোনাভাইরাস রুখতে গোবর সহযোগে গোমূত্র ‘পার্টি’ করার পরিকল্পনা হিন্দু মহাসভার! দেশের রাজধানী দিল্লিতে যাতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে না পারে, তার জন্য চায়ের আড্ডার মতো ‘গোমূত্র পার্টি’ করার আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানালেন হিন্দু মহাসভার সভাপতি চক্রপানি মহারাজ।
এর আগে করোনাভাইরাসকে ‘অবতার’ বর্ণনা করে গোমূত্রকেই এর ওষুধ বলে জানিয়েছিলেন হিন্দু মহাসভার সভাপতি। মঙ্গলবার দেশজুড়ে নতুন করে ছ’জনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবরের পরেই হিন্দু মহাসভা গোবর সহযোগে গোমূত্র পার্টির পরিকল্পনা নিয়ে ফেলেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে কোভিড-১৯ নোভেল করোনাভাইরাসের হানা রুখতে মন্ত্রী ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারকে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিচ্ছেন, তখন এল চক্রপানির এই পার্টি দেওয়ার খবর। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, যেমনভাবে আমরা চায়ের আড্ডা দিই, সে ভাবেই একটি গোমূত্র পার্টির আয়োজন করছি। মানুষের কাছে আমাদের বার্তা, গোমূত্র সহ গো-মাতার বিভিন্ন জিনিসই করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করা যায়। হিন্দু মহাসভার প্রধান আরও জানান, গোমূত্র পান ছাড়াও গোবরের কেক, ঘুঁটে থেকে তৈরি আগরবাতিও এই পার্টিতে ব্যবহার হবে। চক্রপানির দাবি, এইসব ব্যবহারে করোনাভাইরাস সঙ্গে সঙ্গে বিনষ্ট হয়ে যাবে।
এই গোমূত্র ও গোবর কেকের পার্টি প্রথম আয়োজন করা হচ্ছে দিল্লি হিন্দি মহাসভা ভবনে। তারপরে দেশজুড়ে এই ‘পার্টি’ দেওয়া হবে। চক্রপানি মহারাজ জানান, দেশের সব বড় গোশালার সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ থাকছে, তাদের সবার মিলিত উদ্যোগে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করবে হিন্দু মহাসভা।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় শুধু পার্টি দিয়েই ক্ষান্ত হচ্ছে না হিন্দু মহাসভা। জীব হত্যার ফলেই যে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে, দেশজুড়ে সেই ‘সচেতনতা’ বৃদ্ধি করতে হোলি উৎসবের পরে প্রচারে নামছে তারা। চক্রপানি বলেন, অনেকেই আমার কথা বিশ্বাস করবেন না। কিন্তু বাস্তব হল, ভারতের অধিকাংশ মানুষ নিরামিষাশী বলেই করোনাভাইরাস সে ভাবে ছড়াতে পারেনি এ দেশে। পাশাপাশি তাঁর বার্তা, করোনাভাইরাস নিয়ে নিরামিষাশীদের কোনও ভয় নেই, তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাঁরাও গোমূত্র পান করে করোনাভাইরাস আশঙ্কা একেবারে ঝেড়ে ফেলতে পারেন।

Comments are closed.