ইমরান খান ক্ষমতায় আসার পর সীমান্তে পাকিস্তান আরও আক্রমণাত্মক হয়েছে, দাবি বিএসএফ ডিজি’র

ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সীমান্ত সমস্যা আরও বেড়ছে বলে অবসর নেওয়ার আগে ঘুরিয়ে অভিযোগ তুললেন বিএসএফ প্রধান কে কে শর্মা। শুক্রবার তিনি নয়া দিল্লিতে জানিয়েছেন, নতুন পাক প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ইমরান খান শপথ নেওয়ার পর পাক সেনাবাহিনী আরও আক্রমনাত্মক হয়েছ। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভারত-পাক আন্তর্জান্তিক সীমান্তের রামগড় সেক্টরে বিসএফ হেড কনস্টেবল নরেন্দর সিংহের নৃশংসভাবে খুন হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে বিএসএফ-এর বিদায়ী ডিজি বলেন, ইমরান খান পাক প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসার পরেই এই ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তানের বর্ডার অ্যাকশন টিম এই নৃশংস কাণ্ড ঘটিয়েছে।
কে কে শর্মার কথায়, ‘সীমান্তে কিছুই বদলায়নি। এখন আমরা আন্তর্জাতিক সীমান্তেও ব্যাট এর কার্যকলাপ লক্ষ করতে পারছি। যা এর আগে কখনও হয়নি। সাধারণত লাইন অফ কন্ট্রোলে ব্যাটের তৎপরতা এতদিন লক্ষ্য করা যেত। অতীতের তুলনায় বর্তমানে পাক সীমান্ত বাহিনী আরও বেশি আক্রমণাত্মক অবস্থান নিচ্ছে।’  এই ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
নরেন্দর সিংহের মৃত্যু প্রসঙ্গে বিএসএফ প্রধান জানান, পা বাঁধা অবস্থায় যখন সীমান্তের ওপার থেকে ওই বিএসএফ জওয়ানের দেহ উদ্ধার হয় তখন তাঁর দেহে তিনটি গুলির ক্ষত ও গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ ছিল। বিএসফ-এর দাবি, দু’তরফে আলোচনা চলার সময় (ট্যাকটিকাল রিট্রিট) অতর্কিতে পাকিস্তানের দিক থেকে এই আক্রমণ চালানো হয়। গুলির মুখে বিএসফ জওয়ানরা ছত্রভঙ্গ হয়ে নিজেদের রক্ষা করতে সক্ষম হলেও পিছিয়ে পড়েন ওই কনস্টেবল নরেন্দ্র সিংহ। পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটানো হয়ে থাকতে পারে ইঙ্গিত দিয়ে বিএসএফ প্রধানের দাবি, ওই ঘটনার পর আর পাক সেনার তরফে কোনও গুলি চালানো হয়নি। ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করেছে পাক রেঞ্জাররা। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে এরপরেই দেখা যায়, ঘটনার প্রায় সাথে সাথেই সীমান্তের ওপারের গ্রামগুলি খালি করে দেওয়া হয়েছে।
বিএসএফ প্রধান জানিয়েছেন, ওই দিন পালটা জবাব দিতে পারত ভারত, কিন্তু ওই বিএসফ জওয়ানের দেহ উদ্ধারই তখন প্রধান কর্তব্য ছিল, তাই পালটা হামলা চালানো হয়নি। তাঁর দাবি, সীমান্তের ওপারজুড়ে বহু জঙ্গি ট্রেনিং ক্যাম্প চলছে। এবং সীমান্ত পেরিয়ে আতঙ্কবাদীদের এদেশে পাঠাতে চাইছে পাকিস্তান।

Comments are closed.