কলকাতার কাল্টিভেশন অব সায়েন্সেসে হিন্দি-ফরমান ঘিরে আরও তীব্র বিতর্ক

কলকাতার কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিন্দি ভাষা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক। ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্সেসে গত ১৯ মার্চ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। যা ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। গত ১৯ মার্চ কলকাতার ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্সেসের একটি বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল প্রতিষ্ঠানের চিঠিপত্রের অন্তত ৫৫ শতাংশ হিন্দিতে লিখতে হবে। প্রতিষ্ঠানের কাজকর্ম ও স্বাক্ষরও হিন্দিতে বাধ্যতামূলক। হিন্দিতে লেখা চিঠির উত্তর হিন্দিতেই দিতে হবে। প্রতিষ্ঠানে ফাইলের নাম হিন্দি এবং ইংরেজিতে রাখা হবে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। সরকারি ভাষা আইনের ৩ (৩) ধারায় এই নিয়ম মেনে চলা হবে বলে জানানো হয়। গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য এক হিন্দি বিষয়ক আধিকারিক নিয়োগ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছেন, এটা পুরোপুরি হিন্দি আগ্রাসন। বিজেপির হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তান তত্ত্বের প্রতিফলন। দেশের আঞ্চলিকতাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে বিজেপি বলে অভিযোগ ব্রাত্যর। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপি জানিয়েছে ওই প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রের অধীন। একটি স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে কী বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে, সেটা প্রতিষ্ঠানের বিষয়। বিজেপির তা জানার কথা নয়।

[আরও পড়ুন- পা দেখাতে হলে বারমুডা পরতে পারেন! মমতাকে নিয়ে দিলীপের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়]

ওই প্রতিষ্ঠানের তরফে জানানো হয়েছে, এটা নতুন কোনও বিষয় নয়। সংস্থার কিছু কাজকর্ম হিন্দিতে করা হয়। সম্প্রতি সেই কাজ হিন্দিতে হচ্ছিল না। তাই এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এই ধরণের বিজ্ঞপ্তি রুটিন বিষয় বলে জানানো হয়েছে প্রতিষ্ঠানের তরফে।

সম্প্রতি গুয়াহাটির আইআইটিতে গবেষণাপত্র জমা দিতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল বাসবেন্দু বর্মণ নামে এক পড়ুয়াকে। ফর্ম ফিলাপের সময় তাঁকে হিন্দিতে সই করতে বলা হয়। হিন্দি ভাষা না জানলে তাঁর পিএইচডি আটকে যেতে পারে বলেও জানানো হয়েছিল। শেষমেশ বাধ্য হয়েই নিজের নাম হিন্দিতে লিখেছিলেন। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই পড়ে যায়।এবার কলকাতার ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্সেসের হিন্দি-বিজ্ঞপ্তিতে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে।

Comments are closed.