গত মঙ্গলবার মিরাজের পর কি এই মঙ্গলবার সাবমেরিন? পাকিস্তানের নৌবাহিনী প্রচারিত একটি ভিডিওর সূত্রে ফের শিরোনামে ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। পাক সেনার দাবি, পাকিস্তানের জলসীমায় ঢুকে অভিযান চালানোর চেষ্টা করছে ভারতীয় নৌবাহিনী।
পাকিস্তান নৌসেনার এক মুখপত্রের দাবি, তাদের জলসীমার মধ্যে একটি ভারতীয় সাবমেরিনকে চিহ্নিত করা হয়। পাক নৌ বাহিনীর তরফে ফিরে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হলে ভারতীয় সাবমেরিনটি ফিরে যায়। পাকিস্তানের তরফে একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এনে দাবি করা হচ্ছে, এটা পাকিস্তানের জলসীমার মধ্যে ঢুকে পড়া সেই ভারতীয় সাবমেরিনের ছবি। সূত্রের খবর, ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ভারত মনে করছে, ভিডিওটি ২০১৬ সালের।
এদিনই ভারতের নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল সুনীল লান্বা সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এবার সমুদ্র পথে ভারতে নাশকতা চালানোর ছক কষছে জঙ্গিরা। নৌ সেনা প্রধানের সেই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাক জলসীমায় ভারতীয় সাবমেরিনের ঢুকে পড়াকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয়েছে, শান্তির পদক্ষেপকে এগিয়ে নিয়ে যেতেই চিহ্নিত ভারতীয় সাবমেরিনকে অ্যাটাক করার পরিবর্তে স্রেফ হুঁশিয়ারি দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কাশ্মীর সীমান্তে যখন প্রতিদিন নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তখন তাদের জলসীমায় ভারতীয় সাবমেরিনকে চিহ্নিত করেও কেন শুধু হুঁশিয়ারি দিয়েই ছেড়ে দিল পাক নৌ সেনা? নাকি গোটাটাই পাকিস্তানের মস্তিষ্কপ্রসূত, উঠছে এই প্রশ্নও।
২৬/১১ জঙ্গি হামলার সময়ও লস্কর জঙ্গিরা ভারতীয় মাছ ধরার নৌকা ছিনতাই করে দখল করেই মুম্বই পৌঁছেছিল। তারপর থেকেই ভারতের উপকূলরেখায় আরও জোরদার নজরদারি শুরু করে নৌ বাহিনী।