ভারতের গর্ব মুকেশ আম্বানি! মন্দিরে দান করলেন ১.৫ কোটি টাকা! নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর এবার মন্দির দর্শনে বৌমার সাথে পাড়ি দিলেন মুকেশ আম্বানি! নিজের অফুরন্ত ভান্ডার থেকে ঈশ্বরের সেবায় দেড় কোটি টাকা দান করে নজর কাড়লেন দেশবাসীর ফের সংবাদের শিরোনামে তিনি

বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিত্ব হলেন মুকেশ আম্বানি। সম্প্রতি নিজের বৌমার হাত ধরে পাড়ি দিলেন মন্দিরে মন্দিরে ভ্রমণ করতে। কিছুদিন আগেই তাঁকে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল রাজস্থানের শ্রীনাথ মন্দিরে পুজো করতে। এবার আবারো একবার তিরুমালার বেঙ্কটেশ্বরের মন্দিরে পুজো দিতে গেলো তাঁকে। এই মন্দিরের থেকেই ফটো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রসঙ্গত এর আগেও মুকেশ আম্বানি যখন নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়ান সেটা নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ার বেশ চর্চা হয়েছিল।

আমরা সকলেই জানি আম্বানি পরিবারে নতুন লক্ষ্মীর আগমন ঘটেছে নতুন পুত্রবধূ রূপে। নাম রাধিকা মার্চেন্ট। এবার স্বয়ং মুকেশ আম্বানি নিজের পুত্রবধূর সাথে পাড়ি দিলেন মন্দির দর্শনে। সবচেয়ে ধনী পরিবারের মন্দির দর্শনের থেকেও নজর কেড়েছে তাঁদের মন্দির উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য দেওয়া অর্থের পরিমাণ। মন্দিরের উন্নয়ন প্রকল্পে ঈশ্বরের চরণে দেড় কোটি টাকা দান করলেন মুকেশ আম্বানি। আর এই খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে আসার পরেই আম্বানি পরিবার অর্থাৎ রিলায়েন্স কর্তৃপক্ষের ভূয়সী হয়েছে সারা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ভগবান বেঙ্কটেশের মন্দিরে গিয়েছিলেন মুকেশ আম্বানি। ওইদিনই সেখানে দেড় কোটি টাকা ঈশ্বরের চরণে দান করে এসেছেন মুকেশ। সম্প্রতি মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সংবাদ মাধ্যমের কাছে এই বিষয়ে জানানো হয়। এছাড়াও মন্দির কর্তৃপক্ষ থেকে আরও জানানো হয় যে মুকেশ আম্বানি বেঙ্কটেশ্বরের বড় ভক্ত। যেদিন মুকেশ ঈশ্বরের চরণে সেই দেড় কোটি টাকা দান করেন সেই দিনই মন্দিরে পূজাও সেড়েছেন ব্যবসায়ী।

শশুর মুকেশ আম্বানির সাথে সেই মন্দিরে উপস্থিত ছিলেন এনকোর হেলথকেয়ারের মুখ্য কার্যকরী অধিকারিক বীরেন মার্চেন্টের কন্যা রাধিকা। এছাড়া এদিন তাঁদের সাথে উপস্থিত ছিলেন আরআইএলের বেশ কিছু আধিকারিক। জানা গিয়েছে মন্দিরে গিয়ে প্রথমেই নিজের ইষ্ট দেবতার প্রতি পূজা সম্পন্ন করেছিলেন মুকেশ। তারপরেই তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমের অতিরিক্ত কার্যকরী আধিকারিক এ.বেঙ্কট ধর্ম রেড্ডির হাতে দানের দেড় কোটি টাকার চেক তুলে দেন।

তবে শুধু পূজো পাঠ নয় এক বিশেষ অভিষেকের অংশগ্রহণ করেছিলেন মুকেশ আম্বানি ও তাঁর বৌমা রাধিকা আম্বানি। সূত্রের খবর মাধ্যমে জানা গিয়েছে মন্দিরের গর্ভগৃহে করা পূজারীদের বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মাঝে অভিষেকের উপস্থিত ছিলেন তাঁরা। প্রায় দীর্ঘ এক ঘন্টা ধরে তাঁরা এই পুজোয় উপস্থিত ছিলেন। মন্দিরের পুজো সম্পূর্ণ হওয়ার পর হাতিদের খাওয়ার খাওয়ান মুকেশ। প্রসঙ্গত এই মন্দির এর আগে রাজস্থানের শ্রীনাথ মন্দিরে গিয়ে রাধিকার সাথে পুজো পাঠিয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন ব্যবসায়ী। সেখানকার সেই ফটোও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

Comments are closed.