কর্ণাটকে গ্রেফতার বিজেপি নেতা এবং বিতর্কিত খনি ব্যবসায়ী জি জনার্দন রেড্ডি

সামনে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট, বছর ঘুরলেই লোকসভা। ঠিক তারই আগে গ্রেফতার হলেন কর্ণাটকের প্রভাবশালী বিজেপি নেতা প্রাক্তন মন্ত্রী জি জনার্দন রেড্ডি। কর্নাটকের উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর দিন থেকেই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে গা-ঢাকা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বল্লারির এই খনি-ব্যবসায়ীর নামে। কর্ণাটক পুলিশের সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের তরফে তাঁর বাড়িতে তল্লাশিও চালানো হয়। শোনা যাচ্ছিল, জনার্দন রেড্ডি নাকি হায়দরাবাদে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছেন। তিনদিন আত্মগোপন করে থাকার পর শনিবার জেরার জন্য পুলিসের সামনে আসেন চিট ফান্ড কেলেঙ্কারি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত কর্ণাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা খনি ব্যবসায়ী জি জনার্দন রেড্ডি। গোপন আস্তানা থেকে ভিডিও বার্তা পাঠানোর পর আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে শনিবার তিনি সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসে হাজির হন। রেড্ডির দাবি, তিনি নির্দোষ। রাজনৈতিক চক্রান্তের কারণেই তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
গত সপ্তাহেই কর্ণাটকের বল্লারি এলাকার প্রভাবশালী বিতর্কিত খনি ব্যবসায়ী এবং বিজেপি নেতা জনার্দন রেড্ডির ঘনিষ্ঠ সঙ্গীকে লোকসভা উপনির্বাচনে প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটে হারিয়েছে কংগ্রেস। তারপরই রেড্ডির বিরুদ্ধে তদন্ত নতুন গতি পায়।
কোটি কোটি টাকা আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় গত বুধবার থেকেই রেড্ডির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। রেড্ডির ঘনিষ্ঠ আলি খানের খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিস। পুলিশ জানিয়েছে, অতীতে অন্য একটি মামলায় তিন বছরের হাজতবাস করা জনার্দনকে দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা জেরার পর গ্রেফতার করা হয়েছে। বেঙ্গালুরুর পুলিশ সুপার অলোক কুমার জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত তথ্য এবং সাক্ষীর বয়ানের ভিত্তিতেই জনার্দন রেড্ডিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ৪৯ বছর বয়সী জনার্দন কর্নাটকে বিজেপি সরকারের আমলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরিয়াপ্পার মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।

Comments are closed.