যাত্রা উৎসবের উদ্বোধনী মঞ্চ থেকেও নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। যাত্রা পালাকারদের প্রতি তাঁর পরামর্শ, এনআরসি কী, নাগরিকত্ব আইন কী, যাত্রাপালার মাধ্যমে তা তুলে ধরুন। এই আইনের কুফল ব্যাখ্যা করে পালা লিখুন। সাধারণ মানুষকে বোঝান, এর ফলাফল কী হবে।
বৃহস্পতিবার মধ্যমগ্রাম থেকে বারাসত পর্যন্ত এনআরসি, এনপিআর ও কেন্দ্রীয় নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় বিশাল পদযাত্রা শেষ করেই মুখ্যমন্ত্রী যাত্রা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চলে আসেন। মঞ্চে ছিলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অরূপ বিশ্বাস, স্বপন দেবনাথ, তাপস রায় প্রমুখ। সেই মঞ্চ থেকেও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নাগরিকত্ব আইনের তীব্র বিরোধিতা করে মমতা বলেন, যে বাংলা মানুষকে আশ্রয় দিয়ে এসেছে এতকাল, সেখান থেকে মানুষকে তাড়ানোর চক্রান্ত করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যাত্রা শিল্পীদেরও অনেক কর্তব্য রয়েছে। তিনি বলেন, যাত্রার মাধ্যমে সামাজিক জীবন বোঝা যায়, মানুষ কী ভাবছে, কী করছে, সমাজে কী চলছে তার চিত্র উঠে আসে। তাই এনআরসি কিংবা নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগ হলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনে কী প্রভাব পড়বে তা তুলে ধরুন যাত্রাশিল্পীরা।
যাত্রা উৎসবের সূচনা করতে গিয়ে তিনি যাত্রার সঙ্গে জড়িত শিল্পী ও কর্মীদের রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। যাত্রাশিল্পীদের মধ্যে যে ৬৪৪ টি দুঃস্থ পরিবারকে সরকার ১৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য করে, তা বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করার কথা ঘোষণা করেন মমতা। এদিন শান্তিগোপাল ও তপনকুমার পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় শিল্পী ও অভিনেতাদের হাতে। প্রবীণ যাত্রা শিল্পী বাবলি ভট্টাচার্য, অসিত ব্যানার্জি, সাহানা বসু প্রমুখের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
Comments