এয়ারটেল, ভোডাফোনের বিরুদ্ধে কেন্দ্রকে চিঠি আম্বানীদের

এয়ারটেল, ভোডাফোনের আবেদনে কেন্দ্র সাড়া দিলে আরও অনেক সংস্থা এজিআর (অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভিনিউ) এবং অন্যান্য মাশুল মুকুবের আর্জি জানাবে বলে কেন্দ্রকে সতর্ক করল মুকেশ আম্বানীর রিলায়েন্স জিও। সেলুলার অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (সিওএআই) এবং টেলিকম মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে এই মর্মে চিঠি দিয়েছে রিলায়েন্স জিও।
বৃহস্পতিবার ভোডাফোন আইডিয়া, ভারতি এয়ারটেল সহ একাধিক বেসরকারি টেলিকম সংস্থাকে লাইসেন্স ফি এবং স্পেক্ট্রাম ফি বাবদ ৯২ হাজার কোটি টাকা এজিআর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তারপর আলাদাভাবে এয়ারটেল ও ভোডাফোন কেন্দ্রের কাছে ওই সব মাশুল মুকুবের আর্জি জানায়। পাশাপাশি তারা সিওএআই-কেও একই আবেদন করে। সিওএআই-ও কেন্দ্রকে ওই সব সংস্থার আবেদন বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করে। এই প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার প্রতিদ্বন্দ্বী ভোডাফোন ও এয়ারটেলের আর্জি খারিজের কথা জানিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে চিঠি দেয় জিও। চিঠিতে লেখা হয়েছে, ভোডাফোন ও এয়ারটেলের সংশ্লিষ্ট আবেদন খারিজ করা উচিত কেন্দ্রের। চিঠিতে সিওএআই-র আবেদনও বাতিল করার আর্জি জানিয়েছে মুকেশ আম্বানীর জিও। রিলায়েন্স জিও-র অভিযোগ, বিপুল কর্মসংস্থান কমে যাবে, এই অজুহাত দেখিয়ে সরকারকে ব্ল্যাকমেল করতে চাইছে ভোডাফোন ও এয়ারটেল। তাদের মাশুল মুকুবের আবেদন মেনে নিলে অন্যান্য সেক্টর থেকেও একই আবেদন আসতে পারে। জিও-র আরও অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট টেলিকম সংস্থাগুলি ইচ্ছাকৃতভাবেই অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভিনিউ বা এজিআর-র ব্যাপারটি এড়িয়ে চলেছে। এয়ারটেল, ভোডাফোনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এর আগে সিওএআই-কেও চিঠি দেয় জিও।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সুনীল মিত্তলের ভারতি এয়ারটেলকে ২২ হাজার কোটি টাকা লাইসেন্স ফি, সুদ ও অর্থদণ্ড মিলিয়ে মোট ৪১ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা দিতে হবে। অন্যদিকে, ভোডাফোন আইডিয়াকেও ৩৯ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। এই প্রেক্ষিতে দুই সংস্থাই কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছে মাশুল মুকুবের আর্জি জানিয়ে।

Comments are closed.