প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নতুন কমিটির প্রশংসায় জাস্টিস গাঙ্গুলি, আশাবাদী অবস্থার পরিবর্তন নিয়েও 

শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই ‘দুর্নীতির’ অভিযোগে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ বেশ কয়েকজন জেলে। অন্যদিকে চাকরি প্রার্থীরাও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।  শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি রুখতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য। তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নতুন সভাপতি করা হয়েছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপচার্য গৌতম পাল। একটি নতুন অ্যাড হক কমিটিও তৈরি করা হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার সেই কমিটিরই ভূয়সী প্রশংসা করলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। 

এদিন টেট মামলার শুনানি চলাকালীন জাস্টিস গাঙ্গুলি বলেন, নতুন কমিটিতে নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুরী, অভিক মজুমদারের মতো ব্যক্তিরা রয়েছেন। বর্তমান চেয়ারম্যানও ভালো। তারপরেই তিনি মন্তব্য করেন, আশা রাখছি আস্তে আস্তে অবস্থার পরিবর্তন হবে। কিছুটা অতীত স্মৃতি চারণ করে বলেন, এক সময় এই পর্ষদের হয়ে কাজ করেছি। প্রত্যেকটা কোন চিনি। অথচ সেখানেই আমাকে সিআরপিএফ ঢোকাতে হল। এখনকার অবস্থা দেখলে খারাপ লাগে। 

প্রসঙ্গত, কয়েক মাস ধরেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় জাস্টিস গাঙ্গুলির একের পর এক পর্যবেক্ষণ নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে একদল আইনজীবী প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি দিয়েছে। যা নিয়ে বিচারপতি গাঙ্গুলি উষ্মা প্রকাশ করেছেন, সেই সঙ্গে তিনি এও জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তাঁকে কাজে উৎসাহিত করেছেন। 

Comments are closed.