পার্লামেন্ট ও সুপ্রিম কোর্টের দ্বন্দ্ব বিচার ব্যবস্থাকে বিঘ্নিত করে, সাবরীমালা ইস্যুতে বললেন অ্যাটর্নি জেনারেল বেনুগোপাল

পার্লামেন্ট ও সুপ্রিম কোর্টের ‘দ্বন্দ্বের’ কারণে বিচার ব্যবস্থা যে বিঘ্নিত হয় তা নিয়ে অনেকদিন আগেই মুখ খুলেছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেনুগোপাল। সাবরীমালা ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উদাহরণ টেনে বেনুগোপাল বলেন, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় সমস্যা সৃষ্টি করছে।
চলতি বছরের ২৮ শে সেপ্টেম্বর সাবরীমালা ইস্যুতে ঐতিহাসিক রায় দেয় সর্ব্বোচ্চ আদালত। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রসহ ৫ বিচারপতির বেঞ্চ ৪ : ১ ভিত্তিতে রায় দান করে। অর্থাৎ, প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এ এম খানুইকর, বিচারপতি আর নরিমান ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় সবাই ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলাদের সাবরীমালা মন্দিরে প্রবেশের পক্ষে রায় দেন। তবে বিচারপতি ইন্দু মালহোত্র ভিন্নমত পোষন করেন। সাবরীমালা কেসে বিচারপতি ইন্দু মালহোত্র সর্ব্বোচ্চ আদালতের বিচার ব্যবস্থার নৈতিকতার ওপর বিশ্বাস রেখে নিজের মতামতে অনড় থাকেন বলে মন্তব্য করেন কেকে ভেনুগোপাল। তিনি বলেন, এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব মতামত ও বিশ্বাস থাকতে পারে। ভারতীয় বিচারব্যবস্থা একে সম্মান করে।
অন্যদিকে, সাবরীমালা ইস্যুতে বাকি চার বিচারপতির রায়কে সম্মান জানিয়েও বেনুগোপাল বলেন, একই ইস্যুতে পৃথক রায়দান দ্বন্দ্ব তৈরি করে। তিনি বলেন, যদি সুপ্রিম কোর্টের এক বেঞ্চ দু’রকম রায় দেয়, একদল অনুমতি দেয় ও অন্যদল দ্বিমত হয় তবে তা ভয়াবহ। তিনি যোগ করেন, কেউ জানেন না কতদূর এই যুদ্ধের জল গড়াবে, তাই আমি আশা করছি সংবিধানের এই নিয়ম শেষ হোক।
এর আগেও বেনুগোপাল বলেছিলেন, একদিকে দেশের পার্লামেন্ট ও এক্সিকিউটিভ আর অন্যদিকে জুডিশিয়ারি-দু’তরফের দ্বন্দ্ব বিচারব্যবস্থাকে ব্যাহত করে।

Comments are closed.