সাবরীমালায় প্রবেশের ‘অপরাধে’ বাড়িতে ঢুকতে পারলেন না কনক দুর্গা

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে হাতিয়ার করে গত ২ রা জানুয়ারি কেরলের সাবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন কোঝিকোড়ের বাসিন্দা বছর ৩৯ এর কনক দুর্গা। তাঁর সঙ্গী হয়েছিলেন বছর ৪০ এর আর এক মহিলা বিন্দু আম্মিনি। প্রথম মহিলা হিসেবে তাঁদের মন্দিরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে অবসান হয়েছিল যুগ যুগ ধরে চলে আসা এক প্রথার।
কিন্তু সাবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করার কারণে এবার নিজের স্বামী এবং শ্বশুড় বাড়ির রোষের মুখে পড়তে হল কনক দুর্গাকে। মঙ্গলবার ডিস্ট্রিক্ট ভায়োলেন্স প্রোটেকশন অফিসারের কাছে একটি অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা, সেখানে তিনি জানিয়েছে, মন্দিরে প্রবেশের ‘অপরাধে’ তাঁকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না তাঁর শ্বশুড়বাড়ির লোকজন। সূত্রের খবর, এদিন পুলিশ যখন কনক দুর্গাকে তাঁর বাড়ি পৌঁছে দিতে যায়, তখন দেখা যায়, মহিলার স্বামী, তাঁর মা ও দুই সন্তানকে নিয়ে দরজায় তালা দিয়ে চলে গেছেন। ফলে আর বাড়ি ফেরা হয়নি কনক দুর্গার। বর্তমানে তিনি সরকারি আশ্রয়ে পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে আছেন। আরও, জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কনক দুর্গার এই অভিযোগ কোর্টের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে, এখন দেখার কোর্ট এর প্রেক্ষিতে কি নির্দেশ দেয়।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি কণক দুর্গা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর শাশুড়ি তাঁকে লাঠি দিয়ে মেরেছেন। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যা স্থানীয় হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয় তাঁকে। এরপর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কনক দুর্গা। তার প্রেক্ষিতে আদালত কেরল সরকারকে গত সপ্তাহে নির্দেশ দেয়, ২৪ ঘণ্টা ওই মহিলার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার। এদিনই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে পুলিশি নিরাপত্তায় বাড়ি ফিরছিলেন কনক দুর্গা। কিন্তু বাড়িতে ঢুকতে পারলেন না।

Comments are closed.