দোকানের নামে ‘করাচি’ কেন? বেঙ্গালুরুতে ‘ভক্ত’দের চাপে ঢাকতে হল বেকারির হোর্ডিং, মাঝরাতেই তুলতে হল জাতীয় পতাকা

১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় ফিদায়েঁ জঙ্গি হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরকারিভাবে যুদ্ধ ঘোষণা না হলেও, দেশের ভিতরেই শুরু হয়েছে এক অলিখিত যুদ্ধ। একদিকে দেশের নানা প্রান্ত থেকে উঠে আসছে কাশ্মীরিদের ওপর একের পর এক হেনস্থার অভিযোগ, অন্যদিকে ‘পাকিস্তান মুর্দাবাদ’ স্লোগান দিয়ে চলছে নানা সংগঠনের মিছিল, হরতাল, বিক্ষোভ প্রদর্শন।
শুক্রবার এমনই এক ঘটনার স্বাক্ষী হল বেঙ্গালুরুর পুরোনো বেকারি। নামের গেরোয় পড়ে বাধ্য হয়ে ঢাকতে হল দোকানের নাম, ‘দেশপ্রেমের’ প্রকাশ্য নজির রাখতে দোকানে ওড়াতে হল জাতীয় পতাকা।
ঘটনাস্থল বেঙ্গালুরুর ইন্দিরানগর। সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত আটটা নাগাদ, জনা পঁচিশ যুবক ‘করাচি বেকারি’-র সামনে জড়ো হয়। তাদের দাবি, দোকানের নাম থেকে ‘করাচি’ শব্দ বাদ দিতে হবে, কারণ করাচি পাকিস্তানের একটি শহরের নাম।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের পুরোনো ওই দোকান কর্তৃপক্ষ আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে উঠতে পারেনি দোকানের নামে ‘করাচি’ শব্দ থাকলেও, পাকিস্তানের কোনও কর্মী সেখানে কাজ করে না। কিন্তু এই যুক্তিতে চিঁড়ে ভেজেনি। শেষপর্যন্ত বাধ্য হয়ে দোকানের হোর্ডিংয়ে লেখা ‘করাচি’ শব্দ ঢেকে দিতে বাধ্য হন কর্তৃপক্ষ। আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে, সেই রাতেই দোকানের সামনে তুলতে হয় তেরঙ্গা পতাকা।
ইংরেজি পোর্টাল ‘দ্য নিউজ মিনিট’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দোকানের ম্যানেজার জানান, প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে হাজার চেষ্টার পরেও আন্দোলনকারীদের বোঝানো যায়নি দোকানের মালিক বা কর্মচারী কেউই পাকিস্তানের নন। তাই বাধ্য হয়ে দোকানের হোর্ডিং ঢেকে দেন তাঁরা।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর এদেশে এসে ‘করাচি বেকারি’ প্রতিষ্ঠা করেন ব্যবসায়ী খানচাঁদ রামনানি। তাঁদের প্রথম দোকান হায়দরাবাদে খুললেও, এখন দেশের বিভিন্ন শহরে করাচি বেকারির আউটলেট রয়েছে।

Comments are closed.